হোয়াইট হাউসে বৈঠক চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতারা। একপর্যায়ে ইংরেজিতে বক্তব্য শুরু করেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই। তাঁর মুখে সাবলীল ইংরেজি শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প। জানতে চান, এত সুন্দরভাবে ইংরেজিতে কথা বলা কোথা থেকে শিখেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প নিজেই। তাতে যোগ দেন লাইবেরিয়ার পাশাপাশি গ্যাবন, গিনি বিসাউ, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়ার নেতারা। ট্রাম্প তাঁদের বলেন, সহায়তা থেকে বাণিজ্য—নানা বিষয়ে আফ্রিকার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনছেন তিনি। এ-ও জানিয়ে দেন, আফ্রিকার অংশীদার হিসেবে চীনের থেকে ভালো যুক্তরাষ্ট্র।

বৈঠকে আফ্রিকার অনেক নেতা নিজ নিজ ভাষায় কথা বলেন। ভাষাগুলো ট্রাম্পকে বোঝানোর জন্য অনুবাদকের ব্যবস্থা ছিল। তবে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই ইংরেজিতে বলেন, ‘লাইবেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার আপনার যে নীতি, তার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’ এরপর নিজ দেশে মার্কিন বিনিয়োগের পক্ষে কথা বলেন তিনি।

ইংরেজি ভাষায় বোয়াকাইয়ের দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘খুবই চমৎকার ইংরেজি, খুবই সুন্দর। আপনি কোথা থেকে এত সুন্দরভাবে কথা বলা শিখেছেন? আপনি কোথা থেকে পড়াশোনা করেছেন? লাইবেরিয়া থেকে?’ বোয়াকাইয়ের হ্যাঁ-সূচক জবাব পেয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি চমৎকার ইংরেজি। এই টেবিলে আমি এমন অনেককে পেয়েছি এর কাছাকাছিও কথা বলতে পারেন না।’

১৮২২ সালে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের স্বাধীন উপনিবেশ হিসেবে লাইবেরিয়া গড়ে তোলা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর এই উপনিবেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা এসেছিল শ্বেতাঙ্গ মার্কিন মাথা থেকে। লাইবেরিয়ার দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি। এ ছাড়া স্থানীয় কিছু ভাষাতেও কথা বলে থাকেন দেশটির বাসিন্দারা।

হোয়াইট হাউসের বৈঠকে আফ্রিকা সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় মাতেন আফ্রিকার উপস্থিত নেতারাও। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করায় ট্রাম্পকে বাহবা দেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁকে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করার পক্ষে সমর্থন দেন আফ্রিকার নেতারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

চমৎকার ইংরেজি, এত সুন্দরভাবে কথা বলা কোথা থেকে শিখলেন: কাকে বললেন ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসে বৈঠক চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতারা। একপর্যায়ে ইংরেজিতে বক্তব্য শুরু করেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই। তাঁর মুখে সাবলীল ইংরেজি শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প। জানতে চান, এত সুন্দরভাবে ইংরেজিতে কথা বলা কোথা থেকে শিখেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প নিজেই। তাতে যোগ দেন লাইবেরিয়ার পাশাপাশি গ্যাবন, গিনি বিসাউ, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়ার নেতারা। ট্রাম্প তাঁদের বলেন, সহায়তা থেকে বাণিজ্য—নানা বিষয়ে আফ্রিকার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনছেন তিনি। এ-ও জানিয়ে দেন, আফ্রিকার অংশীদার হিসেবে চীনের থেকে ভালো যুক্তরাষ্ট্র।

বৈঠকে আফ্রিকার অনেক নেতা নিজ নিজ ভাষায় কথা বলেন। ভাষাগুলো ট্রাম্পকে বোঝানোর জন্য অনুবাদকের ব্যবস্থা ছিল। তবে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই ইংরেজিতে বলেন, ‘লাইবেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার আপনার যে নীতি, তার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’ এরপর নিজ দেশে মার্কিন বিনিয়োগের পক্ষে কথা বলেন তিনি।

ইংরেজি ভাষায় বোয়াকাইয়ের দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘খুবই চমৎকার ইংরেজি, খুবই সুন্দর। আপনি কোথা থেকে এত সুন্দরভাবে কথা বলা শিখেছেন? আপনি কোথা থেকে পড়াশোনা করেছেন? লাইবেরিয়া থেকে?’ বোয়াকাইয়ের হ্যাঁ-সূচক জবাব পেয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি চমৎকার ইংরেজি। এই টেবিলে আমি এমন অনেককে পেয়েছি এর কাছাকাছিও কথা বলতে পারেন না।’

১৮২২ সালে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের স্বাধীন উপনিবেশ হিসেবে লাইবেরিয়া গড়ে তোলা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর এই উপনিবেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা এসেছিল শ্বেতাঙ্গ মার্কিন মাথা থেকে। লাইবেরিয়ার দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি। এ ছাড়া স্থানীয় কিছু ভাষাতেও কথা বলে থাকেন দেশটির বাসিন্দারা।

হোয়াইট হাউসের বৈঠকে আফ্রিকা সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় মাতেন আফ্রিকার উপস্থিত নেতারাও। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করায় ট্রাম্পকে বাহবা দেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁকে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করার পক্ষে সমর্থন দেন আফ্রিকার নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ