লক্ষ্মীপুরে ফলাফলে এগিয়ে রায়পুর, পিছিয়ে রামগতি
Published: 10th, July 2025 GMT
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় লক্ষ্মীপুর জেলায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল হয়েছে রায়পুর উপজেলার। জেলার পাসের হার ৬৬ দশমিক ১৫ হলেও রায়পুরে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৩। তবে পাসের হার সবচেয়ে কম রামগতি উপজেলায়। এই উপজেলায় ৫২ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবারে জেলার পাঁচটি উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মোট ১৫ হাজার ৮০৪ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১০ হাজার ৪৫৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৫৩ জন শিক্ষার্থী।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়, ৬ হাজার ৮৫৫ জন। এখানে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ হাজার ৪৩১ জন। পাসের হার ৬৩ দশমিক ১৮। রামগঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৭২ জন। পাস করেছে ২ হাজার ১২২ জন। রায়পুরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৯৭ জন। পাস করেছে ১ হাজার ৯৫৬ জন। রামগতিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ২৬৩ জন। পাস করেছে ১ হাজার ১৯১ জন এবং কমলনগর উপজেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২১৭ জন। পাস করেছে ৭৫৫ জন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্র বলেন, ‘নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নিতে সক্ষম হয়েছি। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ফলাফল বিপর্যয় বেশি ঘটেছে। তা ছাড়া এবার রামগতি উপজেলায় পাসের হার কম।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ র স খ য প স কর ছ উপজ ল য় ফল ফল র মগত দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট