লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা কাউছার আহম্মদকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জহিরকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে ঢাকার লালবাগ থানার বিজিবি মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জহির লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকার মনসুর আহমেদের ছেলে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি।

নিহত কাউছার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন। ঘটনার তিন দিন পর গত ৮ জুন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রিয়াজ হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি ১১ জন বিএনপির কর্মী।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কাউছার আহম্মদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল আসামিদের। এর জের ধরে ৫ জুন দুপুরে রাজিবপুর এলাকায় কাউছারের বাড়ির সামনে অভিযুক্তরা তাঁর ভাই আফতাব হোসেনের ওপর হামলা চালান। সে সময় তাঁকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে ভাইকে বাঁচাতে কাউছার এগিয়ে গেলে তাঁর মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন হামলাকারীরা। সন্ধ্যায় কাউছারকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, মো.

জহির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। র‍্যাব তাঁকে থানায় হস্তান্তর করেছে। পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রেপ্তারকৃতদের তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ তদন্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ আশ্বাস দেন।

শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তাঁরা এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তথ্য ও তদন্তের ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়ই বাংলাদেশে চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, এলডিসি-পরবর্তী সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উপমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধান পার্ক ইউনজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ ২০০৬ সালে এআরএফের সদস্য হয়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ