ঋণ খেলাপের মামলায় মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), তাঁর ছেলে-ভাইসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার অর্থঋণ আদালত-১ চট্টগ্রামের বিচারক মো. হেলাল উদ্দীন এ আদেশ দেন।

এস আলমের গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ছাড়া অন্য ১০ জন হলেন তাঁর ছেলে আহসানুল আলম, ভাই আবদুস সামাদ, আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, ইউনিটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান হানিফ চৌধুরী, ইউনিটেক্স স্টিল মিলের শেয়ারহোল্ডার বেলাল আহমেদ, পরিচালক ইসলাম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মায়মুনা খানম।

অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিশেষ পুলিশ সুপার (অভিবাসন) শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মোহাম্মদ এরশাদ আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংক নগরের পাহাড়তলী শাখা থেকে ইউনিটেক্স স্টিল মিলের নামে ৭৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ঋণ নেন তাঁরা। কিন্তু ঋণের অনুপাতে ব্যাংকে থাকা বন্ধকি সম্পত্তির পরিমাণ কম। ঋণের টাকা পরিশোধ না করে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এ জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এ মাসের ৯ জুলাই এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ২টি হিসাব ও ইসলামী ব্যাংকের ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে আদালত এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৪ জুন এস আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। ১৭ জুন এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

গত ১৪ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা জমি, ফ্ল্যাট, প্লট, ভবনসহ ২০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ৭ অক্টোবর এস আলম, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস আলম ও ত ম হ ম মদ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সবাইকে চমকে দিলেন জাস্টিন বিবার

কয়েক বছর ধরে জাস্টিন বিবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন অসুস্থতা, কনসার্ট স্থগিত করা আর স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না—এমন সব বিষয় নিয়ে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে বিবারের সঙ্গে গানের যেন অলিখিত একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। অবশেষে ভক্তদের চমকে দিয়ে নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করলেন কানাডীয় গায়ক। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই বিবারের নতুন অ্যালবাম ‘সোয়্যাগ’ প্রকাশিত হয়েছে আজ। খবর বিবিসির

২০টি গানের অ্যালবামটিতে রয়েছে ‘ড্যাডজ লাভ’, ‘ডিভোশন’, ‘থেরাপি সেশন’-এর মতো গান, যেখানে উঠে এসেছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সংগ্রামের গল্প। কয়েক বছর ধরেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভুগছেন গায়ক। মনে করা হচ্ছে, গানে গানে নিজের জীবনের গল্পই শ্রোতাদের সামনে হাজির করেছেন তিনি।

ইনস্টাগ্রামে অ্যালবামের প্রচারে বিবারকে দেখা গেছে স্ত্রী হেইলি বিবার ও তাঁদের সন্তানকে নিয়ে হাজির হতে। বিবারের ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ