এস আলম, তাঁর ছেলে-ভাইসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 10th, July 2025 GMT
ঋণ খেলাপের মামলায় মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), তাঁর ছেলে-ভাইসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার অর্থঋণ আদালত-১ চট্টগ্রামের বিচারক মো. হেলাল উদ্দীন এ আদেশ দেন।
এস আলমের গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ছাড়া অন্য ১০ জন হলেন তাঁর ছেলে আহসানুল আলম, ভাই আবদুস সামাদ, আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, ইউনিটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান হানিফ চৌধুরী, ইউনিটেক্স স্টিল মিলের শেয়ারহোল্ডার বেলাল আহমেদ, পরিচালক ইসলাম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মায়মুনা খানম।
অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিশেষ পুলিশ সুপার (অভিবাসন) শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মোহাম্মদ এরশাদ আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংক নগরের পাহাড়তলী শাখা থেকে ইউনিটেক্স স্টিল মিলের নামে ৭৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ঋণ নেন তাঁরা। কিন্তু ঋণের অনুপাতে ব্যাংকে থাকা বন্ধকি সম্পত্তির পরিমাণ কম। ঋণের টাকা পরিশোধ না করে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এ জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এ মাসের ৯ জুলাই এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ২টি হিসাব ও ইসলামী ব্যাংকের ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে আদালত এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৪ জুন এস আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। ১৭ জুন এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা আরও ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
গত ১৪ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা জমি, ফ্ল্যাট, প্লট, ভবনসহ ২০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ৭ অক্টোবর এস আলম, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস আলম ও ত ম হ ম মদ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চার্লি কার্ককে মরণোত্তর পদক দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ডানপন্থী রাজনৈতিককর্মী চার্লি কার্ককে মরণোত্তর প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার কার্কের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই বেসামরিক সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী এরিকা কার্ক। এ সময় তাঁর চোখে ছিল অশ্রু।
পদক দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি একজন সাহসী যোদ্ধাকে সম্মান জানাতে এবং স্মরণ করতে। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এমনভাবে উদ্দীপনা জাগিয়েছেন, যা আমি আগে কখনো দেখিনি।’
কার্ক জীবিত থাকলে মঙ্গলবারই হতো তাঁর ৩২তম জন্মদিন। ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন কার্ক। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল তরুণদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কার্ক।
গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। টাইলার রবিনসন নামের ২২ বছর বয়সী এক তরুণকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।