রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এক দম্পতি মারা গেছেন। ওই ঘটনায় দগ্ধ তাঁদের চার বছর বয়সী সন্তান জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

গত বুধবার মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দম্পতি হলেন মো. রিপন মিয়া (৪০) ও ইতি বেগম (৩০)। তাঁদের শিশুকন্য রাফিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

পেশায় দরজি রিপন মিয়া স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শহীদ ফারুক রোডের একটি ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। রিপন মিয়ার বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালীতে। ইতির বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রিপনের শরীরের ৭০ শতাংশ আর ইতির শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাঁদের দুজনেরই শ্বাসনালিও পুড়ে যায়। তিনি বলেন, শিশু রাফিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

পাশের বাসার বাসিন্দা তাসলিমা মনি প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে রিপন মশার কয়েল জ্বালালে বাসায় আগুন ধরে যায়। তাঁরা টের পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে আগুন নেভান। আগুনে রিপন মিয়া, ইতি বেগম ও তাঁদের চার বছর বয়সী শিশু রাফিয়ার সারা শরীর পুড়ে যায়। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ইতি বেগম আর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রিপন মিয়া মারা যান।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

কামরুজ্জামান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, রিপন মিয়া একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। একাধিক ভাড়াটে মিলে একই রান্নাঘরে গ্যাসের চুলায় রান্না করতেন তাঁরা। তবে তাঁদের কক্ষের নিচে সেপটিক ট্যাংক ছিল। সেটির ঢাকনা ছিল তাঁদের কক্ষে।

মো. কামরুজ্জামান তালুকদার আরও বলেন, মশার কয়েল ধরানোর সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। ঘটনার পর তিতাস গ্যাসের লোকজন এসেছিলেন। তাঁরা বলতে পারবেন, কী কারণে কক্ষটিতে এভাবে আগুন ধরে গেছে।

রিপনের স্বজনেরা জানান, তাঁরা ধারণা করছেন, ঘরের ভেতরে কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। আবার সেপটিক ট্যাংকের মুখ ছিল তাঁদের ঘরে। মশার কয়েল জ্বালানোর সময় হয়তো সেখান থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়।

রিপন-ইতি দম্পতি মারা যাওয়ার পর তাঁদের শিশুসন্তানের দেখভাল করছেন নানি। শিশুটির মামা বাকের আলী সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এখন দিশাহারা। বোন-ভগ্নিপতিকে দাফন করবেন, নাকি ছোট্ট ভাগনির পাশে থাকবেন!

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ