সমকালের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আজকের এই অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, গর্বিত করেছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন। 
বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের প্রধান অতিথি, বিচারকবৃন্দ, সম্মানিত লেখক এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের। আপনাদের অংশগ্রহণ ও ভালোবাসা ছাড়া এ আয়োজন সফল হতো না।
প্রিয় অতিথিবৃন্দ,
সংবাদপত্র ও সাহিত্য হাত ধরাধরি করে চলে। সমকাল সাহিত্যের সঙ্গে তার যুগল পথচলা অব্যাহত রাখতে চায়। রাখবে। সংবাদপত্র যেমন সমাজের কথা বলে, সাহিত্যও তাই। সংস্কৃতি ছাড়া সংবাদপত্র বড় হতে পারে না। কারণ দুটোই মুক্তচিন্তার বাহক। সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সংস্কৃতি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি।
নবীন-প্রবীণ লেখকদের চিন্তা ও স্বরকে তুলে ধরা এবং দেশজ সংস্কৃতির ধারাকে সমুন্নত রাখা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব।
এই সাহিত্য পুরস্কার কেবল একটি স্বীকৃতি নয়, একটি প্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ দেশের সাহিত্যজগতের গতিপথকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
আজ যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা। তাদের সাহিত্যিক অবদান আমাদের পাঠকদের হৃদয় ছুঁয়েছে, চিন্তাকে আলোড়িত করেছে। বিশেষভাবে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত হাসনাত আবদুল হাই। তিনি আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর জীবনভর সাহিত্য সাধনা এবং সমাজচিন্তামূলক লেখনীর জন্য আমরা তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমাদের লক্ষ্য আরও সুসংগঠিত সাহিত্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, নতুন প্রতিভাদের খুঁজে বের করা এবং সাহিত্যচর্চার পরিসর বৃদ্ধিতে সমর্থন জোগানো। 
সব শেষে, আবারও সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে, আজকের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র স ব দপত র প রস ক র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ