রাজশাহীতে নিরাপত্তারক্ষী ও শ্রমিকদের জিম্মি করে হিমাগারে ডাকাতি
Published: 7th, August 2025 GMT
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় একটি হিমাগারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ‘দেশ কোল্ডস্টোর’ নামের ওই হিমাগারে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষী ও শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা।
হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল মুখ ঢেকে ও পায়ে জুতা ছাড়া হিমাগারে প্রবেশ করে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীদের ও পরে হিমাগারে থাকা শ্রমিকসহ ২৫ জনকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। ভোর চারটা পর্যন্ত তারা হিমাগারে অবস্থান করে। এ সময় হিমাগারের পাওয়ার হাউস, প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় রক্ষিত যন্ত্রাংশ ও ধাতবসামগ্রী লুট করে ডাকাতেরা। লুট করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ভাঙচুর করা হয় অফিস কক্ষ ও আলমারি।
দেশ কোল্ডস্টোরের ব্যবস্থাপক আকবর আলী বলেন, ভোরে এক শ্রমিক কৌশলে বাঁধন খুলে মিলের হুইসেল বাজিয়ে অন্যদের মুক্ত করেন। পরে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। তিনি আরও বলেন, অনেক যন্ত্রাংশ লুট করা হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই বিদেশি। মূল্য নির্ধারণ এখনো হয়নি। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। তবে তার আগে হিমাগারটি সচল করাই জরুরি। কারণ, ভেতরে প্রচুর কাঁচামাল রয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, একটি ঘরে শ্রমিকদের বেঁধে রেখে বৈদ্যুতিক তারসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে লুট হওয়া সম্পদের পরিমাণ জানা যাবে।
শ্রমিকদের বরাত দিয়ে আকবর আলী জানান, রাতে মোট ২৫ জন দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। ডাকাত দলের ভাষা স্থানীয় ছিল না। তাদের কাছে পিস্তল, রামদা, হাঁসুয়া ছিল। হিমাগারে ১ লাখ ৭৭ হাজার বস্তা আলু আছে। এগুলো রক্ষা করতে হিমাগার চালু করা দরকার। তাঁরা দ্রুত হিমাগার চালুর ব্যাপারে কাজ করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ট কর
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি পালনকালে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই পক্ষ। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিজয় র্যালি বের হয়। র্যালিটি পৌর শহরের চৌমুহনী রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন এবং জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন।
আরো পড়ুন:
গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল, সরোয়ার জাহান, বেলাল, সিফাত, মিলন, সঞ্জিত দাস, জাহাঙ্গীর ও জাহানারা বেগমসহ অন্তত ১৫ জন।
দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ র্যালিতে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ফটিক ও কর্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা আবুল হাসেম বাহাদুরের নেতৃত্বে হামলা হয়।”
পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপনের দাবি, “আমরা জিরো পয়েন্টে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করি। আকবর গ্রুপের লোকজন সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে উসকানিমূলক স্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ