বাঘাইছড়িতে বৃষ্টি থামায় কমছে পানি, এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ
Published: 7th, August 2025 GMT
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়া নিম্নাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই উপজেলার দেড় শতাধিক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। পানি কমায় কিছু সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো পাঁচটি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। এতে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের বেশ কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। দেড় শতাধিক বাড়িতেও পানি ওঠে। পরে দেড় শতাধিক মানুষ উপজেলার চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টি কমায় আজ ভোর ছয়টা থেকে পানি কমতে শুরু করে। উপজেলার সদরের মাস্টারপাড়া, মধ্যমপাড়া, মুসলিম ব্লক, বটতলী ও পোস্ট অফিস সড়ক থেকে পানি সরে গেছে। এ কারণে এসব সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনো বটতলী-উগলছড়ি, সদর-বাবুপাড়া সড়কে পানি রয়েছে। এসব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে আজ বিকেলের মধ্যে এসব সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা।
বাঘাইছড়ি উপজেলা ব্যবসায়ী নিলবরণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের চেয়ে আজ পাহাড়ি ঢল অনেক কমেছে। কিছু রাস্তা থেকে পানি সরে গেছে। এখন মানুষ ও যানবাহন স্বাভাবিক যান চলাচল করছে।
জানতে চাইলে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও ডুবে যাওয়ার এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে বেশ কিছু এলাকায় থেকে পানি সরে গেছে। চার থেকে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশা করছি, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না হলে আজকের মধ্যে বেশ কিছু পানি সরে যাবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ড় শত ধ ক ব ঘ ইছড় উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
কে জানত, ইশতিয়াকের জানাজাও পড়তে হবে স্বজনদের
প্রতিবেশী এক বন্ধুর আত্মীয়ের জানাজায় যাচ্ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ। পথে দ্রুতগামী একটি বাস তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ফেনী কলেজ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। জানাজার নামাজ পড়তে গিয়ে লাশ হয়ে গেলেন ২৭ বছর বয়সী তরতাজা এই যুবক। কে জানত, অল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁর জানাজাও পড়তে হবে স্বজনদের।
আজ রোববার বিকেলে ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার গোবিন্দপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইশতিয়াক ফেনী সদর উপজেলার কালীদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবীর আহমদের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির বন্ধু ও স্বজনেরা জানান, আজ বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রতিবেশী এক বন্ধুর নানির জানাজায় যাচ্ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ। ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার গোবিন্দপুর বটতলা এলাকায় এলে দ্রুতগতির একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক (ইএমও) মো. রায়হান উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে ইশতিয়াকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।
ইশতিয়াকের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের সবাই বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বলে জানান তাঁর বন্ধু হাসান আহমেদ। তিনি বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে ইশতিয়াক সবার ছোট। তাঁর মা ছোট ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা বাসটির সন্ধান করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।