রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়া নিম্নাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই উপজেলার দেড় শতাধিক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। পানি কমায় কিছু সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো পাঁচটি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। এতে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের বেশ কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। দেড় শতাধিক বাড়িতেও পানি ওঠে। পরে দেড় শতাধিক মানুষ উপজেলার চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টি কমায় আজ ভোর ছয়টা থেকে পানি কমতে শুরু করে। উপজেলার সদরের মাস্টারপাড়া, মধ্যমপাড়া, মুসলিম ব্লক, বটতলী ও পোস্ট অফিস সড়ক থেকে পানি সরে গেছে। এ কারণে এসব সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনো বটতলী-উগলছড়ি, সদর-বাবুপাড়া সড়কে পানি রয়েছে। এসব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে আজ বিকেলের মধ্যে এসব সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা।

বাঘাইছড়ি উপজেলা ব্যবসায়ী নিলবরণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের চেয়ে আজ পাহাড়ি ঢল অনেক কমেছে। কিছু রাস্তা থেকে পানি সরে গেছে। এখন মানুষ ও যানবাহন স্বাভাবিক যান চলাচল করছে।

জানতে চাইলে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও ডুবে যাওয়ার এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে বেশ কিছু এলাকায় থেকে পানি সরে গেছে। চার থেকে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশা করছি, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না হলে আজকের মধ্যে বেশ কিছু পানি সরে যাবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ড় শত ধ ক ব ঘ ইছড় উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে বামপন্থিদের মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুয়োধ্বনি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বামপন্থীদের মশাল মিছিলকে উদ্দেশ্য করে ছয়টি আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীদের দুয়োধ্বনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আল বদর, গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শনীর প্রতিবাদে মশাল মিছিল করার সময় ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, সালাম-বরকত হল, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হল, ২১ নং ছাত্র হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল ও মওলানা ভাসানী হল অতিক্রম করার সময় হলের শিক্ষার্থীদের সমস্বরে ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি দিতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

সিলেটে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৪

কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবির প্রশাসনিক ভবনে তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

মশাল মিছিলের তারা ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘রাজাকারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘রাজাকারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

পরবর্তীতে মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এরপর রাজাকারের কুশপুত্তলিকায় আগুন দিতে দেখা যায় তাদের।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, “ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে টিএসসিতে শিবির রাজাকারদের ছবি প্রদর্শন করেছে। শিবির গণঅভ্যুত্থানের পরে দাবি করে এসেছে, তারা রাজাকারদের প্রজন্ম নয়, রাজাকারদের দায় নেবে না। কিন্তু গতকাল শিবির প্রমাণ করে দিয়েছে, তারা রাজাকারদের নেতা মানে।”

তিনি বলেন, “এই বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্ব মুছে দিতে চায়, এই বাংলাদেশ থেকে তাদেরই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের ইতিহাসে পরিণত করতে চাইলে তাদেরও আওয়ামী লীগের পরিণতি বরণ করতে হবে।”

ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের (একাংশ) সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, “আওয়ামী বিদ্বেষ পোষণ করা, ২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ কিংবা প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়া মানেই রাজাকার না। রাজাকার তারা-ই, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে এবং বাংলাদেশে গুম, খুন ও নিপীড়নের সহযোগিতা করেছে।”

তিনি বলেন, “এই রাজাকারদের কোনোভাবে নরমালাইজ করার চেষ্টা করলে স্বাধীনতাকামী জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না। বাংলাদেশে কেবল তারাই রাজনীতি করবে, যারা এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাবিতে বামপন্থিদের মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুয়োধ্বনি
  • টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন নিহত
  • জয়পুরহাটে পোড়া লাশের পরিচয় মিলেছে, স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা