ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি, অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ দাবির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে তারা অভিযুক্ত দুই শিক্ষক নিশিত কুমার ও প্রদীপ কুমারের বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহার কক্ষে তালা মেরে তাকেও অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ সময় প্লাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

আরো পড়ুন:

পঞ্চগড়ে যুবক খুন: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

উত্তরবঙ্গের মহাসড়ক বন্ধের হুঁশিয়ারি রবি শিক্ষার্থীদের

তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিশিত কুমার ও প্রদীপ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ এবং ঘুষ দাবির সঙ্গে জড়িত।

খবর পেয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি, এ ধরনের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না। অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

পরে ইউএনওর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে অবরোধ তুলে নেয় এবং বিষয়টি সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক নিশিত কুমার, প্রদীপ কুমার এবং অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

ঢাকা/তামিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সংগঠনটি বলছে, ছাত্র নামক সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন) থাকবে।

সোমবার রাতে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল আলিম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাবির সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) দাপ্তরিক কাজ শেষে দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ অবস্থায় কতিপয় ছাত্র তাঁকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় ও অশালীন উক্তি করে। এরপর তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনে ঢুকতে গেলে প্রধান ফটকে তারা তালা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সহ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দিকে যেতে চাইলে এই ছাত্র নামক সন্ত্রাসীরা তাঁকেসহ প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১১টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বহিষ্কার এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোরালো দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ