কনসার্টে ‘অশ্লীল’ শব্দ: আসিফ বললেন, এটা আমাদের সংস্কৃতি না
Published: 7th, August 2025 GMT
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আয়োজিত এক কনসার্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এই কনসার্টের একটি ভিডিও ক্লিপ, যা বুধবার (৬ আগস্ট) থেকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েকজন শিল্পী গান পরিবেশনের সময় ইংরেজি ভাষায় অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করছেন। এক শিল্পীকে বারবার ‘ফাকিং’ শব্দটি বলতে শোনা গেছে, যা নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
বিতর্ক আরো প্রবল হয়, যখন জানা যায়—এই কনসার্ট রাষ্ট্রীয় চ্যানেল বিটিভি সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম থেকে এই ধরনের অশালীন ও আপত্তিকর শব্দ সম্প্রচার করাকে ‘সংস্কৃতিবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করছেন অনেকেই।
আরো পড়ুন:
কুবিতে শহীদ আব্দুল কাইয়ূমের শাহাদাত বার্ষিকী পালন
রাবিতে বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮৩ শিক্ষার্থী
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “হিপহপের নামে অসভ্য শব্দচয়ন এবং বিটিভিতে সম্প্রচার—বাংলাদেশি সংস্কৃতির সাথে যায় না।”
তার এই বক্তব্য সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। অনেক অনুরাগী এবং সাধারণ ব্যবহারকারী এতে সহমত পোষণ করেছেন। কামরুল হাসান নামে একজন লেখেন, “অপসংস্কৃতি বহুকিছুই আমরা গ্রহণ করেছি। সেটা যাই হোক, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হিপহপের সম্প্রচার ভালো হয় নাই। হয়তো বুঝেও নাই তাদের লিরিক্স কেমন হতে পারে।” তিনি আরো উল্লেখ করেন, “জুলাই স্পিরিট তো আছেই, কেইবা রিস্ক নেবে।”
এদিকে, নবীন সংগীতশিল্পী সিঁথি সাহাও ভিডিওটি শেয়ার করে নিজের মতামত দিয়েছেন। অন্যদিকে, জনপ্রিয় গীতিকার ও শিল্পী লুৎফর হাসান তার ফেসবুক পোস্টে তীব্র ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে যে কনসার্ট হলো, সেখানকার একটা ভিডিও দেখলাম। এক দল ছাপড়ি ইংলিশে ‘ফা*কিং গাইজ’ না কী যেন বলল। এই স্তরের খাঁটি ছাপড়ি কীভাবে উন্মুক্ত কনসার্টে উঠতে পারে?”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন কনস র ট
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে ২ কলেজে দুদকের অভিযান
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি কলেজে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিনব্যাপি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডাসার সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় (শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ) ও শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুসহ চারজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর ডাসার সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় জাতীয়করণ করার লক্ষ্যে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই পরিপত্রে কলেজটির নিয়োগ, পদোন্নতি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয়া হয়। পরিপত্র অনুযায়ী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে ছয়জন শিক্ষক ও কর্মচারী সৈয়দ অলিউর রহমান, সুদীপ বসু, রেবেকা পারভান এ্যানী, নুরুন নাহার, হুমায়ুন কবির ও মো. মামুনকে নিয়োগ দেয়।
আরো পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী জাবেদ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
এছাড়াও শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এক প্রভাষক ভারতে অবস্থান করেন কিন্তু বেতন-ভাতা উত্তোলন করে এবং কলেজের অধ্যক্ষ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। এ সব বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি দুদকের নজরে আসলে অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘চার সদস্যের একটি টিম দুটি কলেজে অভিযান চালিয়েছি। সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ওই শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। এ বিষয়ে তারা কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আগামী রবিবার পর্যন্ত তারা সময় নিয়েছেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য হাতে পেয়েছি এবং এগুলোর রেকর্ডপত্র আমরা সংগ্রহ করেছি। এক শিক্ষক ভারতে থেকে বাংলাদেশ থেকে বেতন নিচ্ছেন, এ তথ্য সত্য কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় নিচ্ছেন; সেটা পর্যালোচনা করছি। সেটা আইন এবং বিধিবহির্ভূত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
ডাসার সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা জানান, উপর মহলের মৌখিক অনুমতির ভিত্তিতে তখন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/বকুল