বাটারফ্লাই গ্রুপের কারখানা পরিদর্শন করলেন এলজি ইকো সলিউশন প্রেসিডেন্ট
Published: 7th, August 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাটারফ্লাই গ্রুপের কারখানা পরিদর্শন করলেন বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান ব্র্যান্ড এলজির গ্লোবাল ইকো সলিউশন বিভাগের প্রেসিডেন্ট জোসাং লি। এ সময় তাঁর সঙ্গে এলজির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। এই সফরে তাঁরা বাটারফ্লাই ফ্যাক্টরির এসি ম্যানুফ্যাকচারিং লাইন ঘুরে দেখেন এবং পরবর্তী সময়ে রাজধানীর গুলশান-২ এ বাটারফ্লাই গ্রুপের শোরুম ‘হাউস অব বাটারফ্লাই’ পরিদর্শন করেন।
কারখানা পরিদর্শনকালে বাটারফ্লাই গ্রুপের স্টেট-অব-দ্য-আর্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা। বাটারফ্লাই গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য পৌঁছানো ও তাঁদের জীবনযাত্রার মান আরও সহজ ও উন্নত করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন।
রাজধানীর গুলশান-২–এ ‘হাউস অব বাটারফ্লাই’ পরিদর্শন করে তাঁরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা, পণ্য ডিসপ্লে ও বিক্রয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। সফরের প্রতিক্রিয়ায় এলজির কর্মকর্তারা বাংলাদেশের বাজারে বাটারফ্লাইয়ের অবদান ও উদ্ভাবনী উৎপাদন সক্ষমতার প্রশংসা করেন।
বাটারফ্লাই গ্রুপ ও এলজির অংশীদারত্ব কেবল পণ্যের সরবরাহ নয়, বরং এটি একটি প্রযুক্তিনির্ভর কৌশলগত সহযোগিতা। এলজির বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনশক্তিকে বাটারফ্লাই দক্ষতার সঙ্গে স্থানীয় বাজারে বাস্তবায়ন করছে—উৎপাদন, বিপণন ও গ্রাহকসেবার প্রতিটি ধাপে। যৌথভাবে তাঁরা কাজ করছে স্মার্ট হোম সলিউশন, এনার্জি-এফিশিয়েন্ট প্রযুক্তি ও টেকনোলজি ট্রান্সফারকে আরও এগিয়ে নিতে।
বাটারফ্লাই গ্রুপের সেলস ডিরেক্টর মকবুল্লাহ হুদা চৌধুরী বলেন, ‘এলজির শীর্ষ কর্মকর্তাদের এই সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও দৃঢ়তা এনে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনে একসঙ্গে কাজ করার পথ উন্মুক্ত করেছে।’
জোসাং লি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক মার্কেট। বাটারফ্লাইয়ের মতো নির্ভরযোগ্য ও উদ্ভাবনী অংশীদারের মাধ্যমে আমরা শুধু পণ্য সরবরাহ করছি না, বরং প্রযুক্তি স্থানান্তর, স্থানীয় কর্মসংস্থান এবং স্মার্ট হোম সলিউশনসকে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের এই অংশীদারত্ব ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
অনুষ্ঠানে বাটারফ্লাই গ্রুপ ও এলজি বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা, ডিমের দাম আগের মতো বাড়তি
আজ ছুটির দিনে রাজধানীর বাজারে ক্রেতার ভিড় চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, আজ বাজারে ক্রেতাসমাগম ও বিক্রি দুটিই ভালো। তবে বাজারে পেঁয়াজ ও আদার ঝাঁজ বেড়েছে। ডিমের দাম গত সপ্তাহের মতো ডজনপ্রতি সব ধরনের ডিমে এখনো ১০ টাকা বাড়তি। দাম কমেনি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির।
গত দুই থেকে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। পাশাপাশি বাজারে এখনো চড়া আছে সবজি ও কাঁচা মরিচের দাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢাকায় আজ কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল যা ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ, রসুন ও আদার পাইকারি ব্যবসায়ী বশির শেখ বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগে এক পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি করতাম ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এখন বিক্রি করছি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। এখনো বাজারে কৃষকের সংরক্ষিত পুরোনো পেঁয়াজ আসছে। তাই সরবরাহ কিছুটা কম। সে জন্য দামও কিছুটা বাড়তি। পরের মৌসুমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে যাবে।’
বাজারে ডিমের দাম উঠেছে ডজনপ্রতি ১৩০-১৪০ টাকা। গত সপ্তাহ থেকে ডজনপ্রতি এই দামেই বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে পাইকারি দামে সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন ও লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এর সঙ্গে ঢাকায় আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। সপ্তাহ দুয়েক আগে এই মুরগির কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সেই হিসাবে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা ও সোনালি মুরগি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে।
খুচরা বিক্রেতা জানান, গতকালও মুরগির দাম কমেছিল। ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। তবে বিক্রি ভালো ছিল না। আজ ছুটির দিন হওয়ায় বাজারে ক্রেতার ভিড় বেশি থাকবে বলে পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে পাইকাররা। এ কারণে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ মৌসুমি বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে। আজ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তবে মৌসুমি বৃষ্টি শুরুর আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কেনা যেত ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, বাজারে এখন দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের সরবরাহ কিছুটা কম। এই সুযোগে সরবরাহ বেড়েছে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচের। এটিও মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দামও আগের তুলনায় বেশি। করলা, কাঁকরোল, বেগুন, বরবটিসহ অধিকাংশ সবজির কেজি এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকার আশপাশে। দেশি টমেটো এখন পাওয়া যায় না বললেই চলে। এ কারণে আমদানি করা টমেটোর দাম বেশি, প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা। তবে বেড়েছে বেগুনের দাম। গোল ও লম্বা আকৃতির বেগুনের দাম প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আনিস বলেন, সব ধরনের সবজির দাম বৃষ্টির কারণে কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি সবজিভেদে ৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে সরবরাহ ভালো। বৃষ্টি থামলে শাকসবজির দাম হয়তো কিছুটা কমবে।
মাস দেড়েক আগে বাজারে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছিল। এখনো সে দামেই বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ডায়মন্ড, সাগর, মঞ্জুর প্রভৃতি ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা ও মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।