বন্দরে ৯ মাসের বকেয়া বেতন ও দুই  ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও  বিক্ষোভ মিছিল  করেছে বন্দর স্টিল মিলের  বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।  

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট)  দুপুরে উপজেলার দেওয়ানবাগ এলাকায় এ কর্মসুচী পালন করেছে শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের  দুই পাশ তীব্র  যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

পরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে  শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়।  ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বিকেল ৩টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষুদ্ধ  শ্রমিকরা জানান, নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত বন্দর স্টীল মিলের প্রায়  দুই শতাধিক শ্রমিকদের  ৯ মাসের বেতন এবং ২টি ঈদ বোনাস আটকে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা পরিবারের লোকজন  নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে অভিযোগ।

বারবার  মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে  যোগাযোগ করলেও তারা কয়েকবার আশ্বাস দিলেও   বকেয়া বেতন ও বোনাস আজ পর্যন্ত পরিশোধ করছে না।

বন্দর স্টিল মিল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মিলের মূল গেইট বন্ধ রাখায়  দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সংগঠনটি বলছে, ছাত্র নামক সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন) থাকবে।

সোমবার রাতে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল আলিম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাবির সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) দাপ্তরিক কাজ শেষে দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ অবস্থায় কতিপয় ছাত্র তাঁকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় ও অশালীন উক্তি করে। এরপর তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনে ঢুকতে গেলে প্রধান ফটকে তারা তালা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সহ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দিকে যেতে চাইলে এই ছাত্র নামক সন্ত্রাসীরা তাঁকেসহ প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১১টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বহিষ্কার এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোরালো দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ