চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকায় শীতল ঝরনা খালের পানির স্রোতে ধসে যাওয়া সড়ক ও কালভার্ট পুনরায় নির্মাণ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোর রাতে সড়কটি ধসে যাওয়ার পর সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র। সেসময় দ্রুত সময়ের মধ্যেই সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ শুরু করার ঘোষণা দেন তিনি।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যে স্থানে সেতু ও কালভার্ট ধসে পড়েছে, তার দুই পাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থায় যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চার লেইনের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ঘটনাস্থলের কাছে বর্তমানে দুই লেন বন্ধ করে পার্শ্ববর্তী লেনে উভয়মুখী যানবাহন চলাচল করছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মীরা জানান, মেয়রের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে থেকেই ধসে পড়া কালভার্ট ও সড়কর পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন জানান, প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কালভার্টটি। সম্প্রতি শীতলঝর্না খাল সম্প্রসারণ করার ফলে এবং এই দীর্ঘদিনের ব্যবহারে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল বর্ষার পর কালভার্ট পুনরায় নির্মাণ করা হবে। তবে দুর্ঘটনার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা সম্পন্ন করে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হবে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “পুরোনো ২০ ফুট প্রশস্ত ব্রিজের পরিবর্তে ৬০ ফুট প্রশস্ত একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, যা ভবিষ্যতে ভারী যানবাহনের চাপেও টিকে থাকবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় আট থেকে নয় কোটি টাকা এবং এক বছরের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হবে।”

সাময়িক ভোগান্তির জন্য জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি জানান, ট্রাফিক বিভাগকে ভারী যানবাহনের জন্য বিকল্প রুট নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নাসিরাবাদ হয়ে বিকল্প সড়ক প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ভারী যান চলাচল করবে। অক্সিজেন এলাকায় আপাতত কেবল হালকা যান চলাচল করবে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ–সংলগ্ন সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ–সংলগ্ন সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় লোকজন। এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার না করা হলে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শহরের মেসলেমা একাডেমির সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি হাফেজ বেলাল হুসাইন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

বক্তারা বলেন, এই সড়ক জেলার সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ–সংলগ্ন। এই কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি। এ ছাড়া এই সড়কের পাশে পল্লী মঙ্গল স্কুল ও কলেজ, মোসলেমা একাডেমি, সমাজসেবা অফিস, জেলা সমবায় অফিস, টেলিফোন অফিস, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস, জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস, জাতীয় নিরাপত্তা অফিস (এনএসআই), ডাকঘরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি অফিস রয়েছে। প্রতিদিন এই সড়কে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহাল দশার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলার কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী পরিবহন ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য এ পথে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পুরাতন সাতক্ষীরা থেকে সরকারি কলেজ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে তিন মাস আগে সড়কের পিচ তুলে ফেলার পাশাপাশি দুই ধারে ইট বসানোর জন্য গর্ত করা হয়। এর পর থেকে সড়কে আর কাজ হয়নি।

সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিআরএম প্রকল্পের আওতায় ও জার্মানভিত্তিক সংস্থা কেএফডব্লিউর অর্থায়নে ১৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে পৌরসভার সরকারি কলেজ–সংলগ্ন সড়কসহ ১০টি সড়ক নির্মাণের জন্য দরপত্রের ভিত্তিতে কাজটি পান পটুয়াখালীর ঠিকাদার কহিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর আলম। কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি। কাজ শেষ করার কথা ২০২৬ সালের ২০ এপ্রিল।

সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ১০টি সড়কের কাজ চলছে। সড়কগুলোর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ১৭৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। এ সড়কের প্রস্থ হবে ১৯ দশমিক ৪৪ ফুট। কলেজের কাছের সড়কটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ার এ কাজ আগে করার জন্য ঠিকাদারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

কহিনুর এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক শিহাবুজ্জামান বলেন, সরকারি কলেজ–সংলগ্ন সড়কের কাজ ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সড়ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান বালুর দুষ্প্রাপ্যতার পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে কাজ করা যাচ্ছে না। চাহিদামতো বালু পাওয়া গেলে ও বৃষ্টি না হলে সড়কের বাকি অংশ চলাচল উপযোগী করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। আর বৃষ্টি শেষে নভেম্বরে রাস্তায় পিচের কাজ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাওয়াদাওয়া কেনাকাটাতেও জমজমাট খিলগাঁও
  • চট্টগ্রামের অক্সিজেনে বৃষ্টির কারণে বড় সড়ক দেবে গেছে
  • সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ–সংলগ্ন সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ