ভারতের নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই অন্য পর্যায়ে তুলে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আজ শুক্রবার কংগ্রেসশাসিত কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে তিনি রাজ্য সরকারকে ভোট চুরি তদন্তের নির্দেশ দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে দলীয় সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘ভোট চুরির রহস্য’ তুলে ধরেন রাহুল। এরপর নিজের বাসভবনে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতাদের নৈশভোজের আসরেও তিনি ইসি–বিজেপি ‘আঁতাতের’ চরিত্র উন্মোচন করেন। আজ সকালেই চলে যান কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে ইসির ‘ভোট চুরির’ তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের অন্তর্গত মোট সাতটি বিধানসভা আসন রয়েছে। সেগুলোর ছয়টি বিধানসভায় কংগ্রেস জিতলেও মহাদেবপুরায় বিজেপি এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। সে কারণে বিজেপি লোকসভা আসনটি ৩২ হাজার ভোটে জিতে যায়।

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে রাহুল বলেন, বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের অন্তর্গত মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনে ইসির কর্তাদের ভোট চুরির তদন্ত করা হোক। অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তাঁদের চিহ্নিত করা হোক, যাতে সত্য প্রকাশিত হয়। ইসির দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও তদন্ত করে রাহুল প্রমাণ করতে চেয়েছেন, শুধু মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকায় কারচুপি করে বিজেপি বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসকে হারিয়েছে।

বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের অন্তর্গত মোট সাতটি বিধানসভা আসন রয়েছে। সেগুলোর ছয়টি বিধানসভায় কংগ্রেস জিতলেও মহাদেবপুরায় বিজেপি এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। সে কারণে বিজেপি লোকসভা আসনটি ৩২ হাজার ভোটে জিতে যায়।

কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, বিজেপির হয়ে ইসি কারচুপি না করলে ২০২৪ সালের ভোটে কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১৬টিতে জিততই। তথ্যসহকারে এই ভোট চুরির প্রমাণ দিয়ে রাহুল অভিযোগ করেন, ইসি এই কারসাজি না করলে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না।

আজ বেঙ্গালুরুর ফ্রিডম পার্কে কংগ্রেস এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল। সেই জনসভার ব্যানারে লেখা ছিল—‘আমাদের ভোট, আমাদের অধিকার, আমাদের লড়াই’। রাহুল ছাড়াও সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারসহ শীর্ষ নেতারা।

রাহুল বলেন, ইসি কিছুতেই ডিজিটাল ভোটার তালিকা দিতে চাইছে না। গত ১০ বছরের ভোটের ভিডিওগ্রাফির রেকর্ডও প্রকাশ করতে চাইছে না। সামান্য পেনড্রাইভে বছরের পর বছর বিপুল তথ্যভান্ডার সংরক্ষিত রাখা যায়। ইসি তা জেনেও ৪৫ দিন পর তথ্য মুছে ফেলতে চাইছে। তা করতে চাইছে যাতে চুরি ধরা না পড়ে।

সেখানেই রাহুল রাজ্য সরকারকে ভোট চুরি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেন, কংগ্রেস প্রমাণ করে ছাড়বে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সাধারণের ভোট চুরি ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে।

রাহুল বলেন, ইসি কিছুতেই ডিজিটাল ভোটার তালিকা দিতে চাইছে না। গত ১০ বছরের ভোটের ভিডিওগ্রাফির রেকর্ডও প্রকাশ করতে চাইছে না। সামান্য পেনড্রাইভে বছরের পর বছর বিপুল তথ্যভান্ডার সংরক্ষিত রাখা যায়। ইসি তা জেনেও ৪৫ দিন পর তথ্য মুছে ফেলতে চাইছে। তা করতে চাইছে যাতে চুরি ধরা না পড়ে।

রাহুল গান্ধী বলেন, ইসি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডেটা তুলে দিলেই প্রমাণ করে দেবেন, কীভাবে ভোট চুরি করে তারা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করেছে।

কংগ্রেস নেতা বলেন, সরকার আইন করে মানুষকে তথ্য জানার অধিকার দিয়েছে। দেশের মানুষ যখন তথ্য জানতে চাইছে, ইসি তখন তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা রাজস্থান ও বিহারে তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ রেখেছে। এই ভোট চুরি সংবিধানের অপমান। সময় বদলাবে। অপরাধীদের একজনও পার পাবেন না।

দুই দিন ধরে মহাদেবপুরা আসনের ভোট চুরির কায়দা দেখিয়ে রাহুল বোঝাতে চেয়েছেন, কীভাবে অনেক ভেবেচিন্তে বিজেপির হয়ে নির্বাচন কমিশন এ কাজটা করে আসছে। রাহুলের কথায়, মহাদেবপুরা ‘টেস্ট কেস’। ওই একটিমাত্র বিধানসভা আসনে এত ভোট বিজেপিকে পাইয়ে দেওয়া হয়, যাতে বাকি ছয় আসনে হেরেও বিজেপি লোকসভা আসনে জিতে যায়।

পাঁচ উপায়ে ইসি এ কাজটা করেছে বলে রাহুলের দাবি। ইসির কাছ থেকে পাওয়া মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনের দিস্তা দিস্তা ভোটার তালিকা (যা পরপর সাজালে উচ্চতা দাঁড়ায় সাড়ে সাত ফুট) খুঁটিয়ে দেখে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঠিকানা ধরে ধরে তদন্ত করে রাহুল ওই পাঁচ উপায়ের খোঁজ পেয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন, শুধু ওই বিধানসভা আসনে ডুপ্লিকেট ভোটারের (যে নাম একাধিক বুথে রয়েছে) সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৯৬৫, ভুয়া ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার, এক ঠিকানায় একাধিক পরিবারের ভোটারসংখ্যা ১০ হাজার ৪৫২, ভোটার তালিকায় ভুল ছবি বা ছবি না থাকার সংখ্যা ৪ হাজার ১৩২ এবং ফরম–৬–এর অপব্যবহার করেছেন ৩৩ হাজার ৬৯২ জন।

ফরম–৬ দেওয়া হয় প্রথমবার যাঁরা ভোট দিচ্ছেন তাঁদের। অর্থাৎ যে ভোটারদের বয়স ১৮ বা এর কিছু বেশি। রাহুল দেখিয়েছেন, মহাদেবপুরায় ফরম–৬–এ ৩৩ হাজার ৬৯২ জনের বয়স ৬০ থেকে ৯২ বছর! রাহুল বলেন, তাঁর দলের এই কাজ করতে সময় লেগেছে ছয় মাস। ইসি যদি ডিজিটাল তথ্য দিত, তাহলে এই কাজ করতে কয়েক ঘণ্টাই যথেষ্ট ছিল।

রাহুল বলেন, ঠিক এভাবে কারচুপি করে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটে ইসি বিজেপি ও তার দোসরদের জিতিয়েছে। নইলে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে ওই বিপুল পরিবর্তন হতো না। লোকসভা ভোটের পাঁচ মাস পর মহারাষ্ট্রে বিধানসভার ভোট হয়। ইসির বদান্যতায় পাঁচ মাসে ভোটার বৃদ্ধি পায় ৪০ লাখ। বিজেপি ও তার শরিকেরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়।

আজ রাহুল মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরাখন্ড বিধানসভার ভোটেও ইসির কাপচুপির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিহারে ভোটার তালিকার যে নিবিড় সংশোধনের কাজ করছে, তার লক্ষ্যও বিজেপিকে জেতানো। সেটা তারা করতে চাইছে বিপুল ন্যায্য ভোটারের নাম কেটে ও ভুয়া ভোটার ঢুকিয়ে। তাঁর অভিযোগ, সাধারণ দরিদ্র, অনগ্রসর মানুষই হতে চলেছেন এই ভোট চুরির বলি।

পাঁচ উপায়ে ইসি এ কাজটা করেছে বলে রাহুলের দাবি। ইসির কাছ থেকে পাওয়া মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনের দিস্তা দিস্তা ভোটার তালিকা (যা পরপর সাজালে উচ্চতা দাঁড়ায় সাড়ে সাত ফুট) খুঁটিয়ে দেখে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঠিকানা ধরে ধরে তদন্ত করে রাহুল ওই পাঁচ উপায়ের খোঁজ পেয়েছেন।

রাহুল ইদানীং ভোট চুরিতে ইসির সংশ্রবের অভিযোগ করলেও নির্বাচন কমিশন তা ‘বাজে বকবকানি’ বলে উড়িয়ে দিয়ে আসছে। বিজেপিও বলেছে রাহুলের অভিযোগ ‘অবান্তর’। এই প্রথম রাহুল ইসির তথ্য দাখিল করে মহাদেবপুরার ঘটনা সামনে আনলেন। এরপরই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা রাহুলকে চিঠি লেখেন। তাঁকে শপথপত্রে সই করে অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়।

ইসি থেকে রাহুলকে বলা হয়, হয় শপথ নিয়ে অভিযোগ জমা দিন, নয়তো জনগণের কাছে ক্ষমা চান। রাহুল ইসিকে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি প্রকাশ্যে যা বলেছেন, যে অভিযোগ এনেছেন সেটাই তাঁর ঘোষণাপত্র। সংবিধানের শপথ নিয়ে সংসদের সদস্য হয়েছেন। ইসির এত শর্ত দেওয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন ট র ল ল কসভ র হ ল বল ন তদন ত কর ব ধ নসভ চ উপ য় ন ত কর প রক শ আসন র নসভ র সরক র বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় পার্টির সম্মেলন কাল, ইসির প্রতিনিধি চেয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে

আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির যে সম্মেলন হবে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করে প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদেরবিরোধী অংশের প্রধান নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে আজ শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। কাউন্সিল করে আমরা গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ধারা বাতিল করে দেব। কোনো একক নেতৃত্বে নয়, জাতীয় পার্টি চলবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে।’

গত ৩০ জুলাই জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করেছে জি এম কাদেরের বিরোধী অংশ। এরপর তিনি শনিবার দলের সম্মেলন আহ্বান করেন।

এর উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বিভেদ রয়েছে, সে বিভেদ শেষ করে দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য করে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের জাতীয় পার্টির নবযাত্রা শুরু হবে। এই কাউন্সিলে সারা দেশ থেকে জাতীয় পার্টির কয়েক হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট অংশ নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের মানুষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা দেখেছিল, সেই প্রত্যাশাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে জাতীয় পার্টি নতুন অভিযাত্রায় নেমেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আদালতের এই আদেশের ফলে পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম এক অনিশ্চয়তা ও স্থবিরতার মুখে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের সময়সীমার বিধিবিধান এবং জাতীয় পার্টির মতো একটি বৃহৎ ও জনগণনির্ভর রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বশূন্য বা স্থবির থাকা কোনোভাবেই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পক্ষে সহায়ক নয়। এই বিবেচনায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ২০(২)(খ) ধারা অনুযায়ী যথাযথ সাংগঠনিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

মুজিবুল হক বলেন, এই ধারার ক্ষমতাবলে ৫ আগস্ট জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে দলকে সাংগঠনিক স্থবিরতা থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র, গঠনতন্ত্র এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষায় অতি দ্রুত জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।

মুজিবুল হক আরও বলেন, উপরন্তু দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর মধ্যে যে আশাবাদ, উদ্দীপনা এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জন্ম নিয়েছে, সেটা বাস্তবায়নে এটি (কাউন্সিল) সময়োচিত ও আবশ্যক পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি আবারও প্রমাণ করেছে, এই দল কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি, একটি আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন হতাশা, বিভ্রান্তি ও দিশাহারা ভাব বিরাজ করছে, তখন জাতীয় পার্টি ঐক্যের বার্তা নিয়ে দেশবাসীর সামনে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কো–চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম, জিয়াউল হক মৃধা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, খান মো. ইসরাফিল, ইয়াকুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, জামাল রানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ