‘যানে ভি দো ইয়ারো’ অভিনেতা সতীর্থ মারা গেছেন
Published: 25th, October 2025 GMT
জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সতীশ শাহ আর নেই। আজ ২৫ অক্টোবর দুপুরে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে কিডনি প্রতিস্থাপনও করিয়েছিলেন এই বরেণ্য অভিনেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টুডের
চার দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয়জগতে সক্রিয় থাকা সতীশ শাহ উপহার দিয়েছেন অনেক স্মরণীয় চরিত্র। ‘যানে ভি দো ইয়ারো’-তে তাঁর অভিনীত কমেডি চরিত্র তাকে পরিচিত করে তোলে।
সতীশ শাহ। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে অ্যান্টিভেনম ও অ্যান্টি র্যাবিক্স ভ্যাকসিন তৈরি হবে: সায়েদুর
২০৩০ সাল থেকে দেশে সরকারি উদ্যোগে ভ্যাকসিন ও বায়োটেক কোম্পানির উৎপাদন শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের হলরুমে দুই দিনব্যাপী ১৩তম ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড টক্সিকোলজির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
পটুয়াখালীতে বরফ কলের গ্যাস ছড়িয়ে অসুস্থ ২০
খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ২০ দিনে ১২ শিশুর মৃত্যু
ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা সরকারে না থাকলেও আগামী জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। দেশে তৈরি হবে অ্যান্টিভেনম ও অ্যান্টি র্যাবিক্স ভ্যাকসিন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকার অ্যান্টিভেনম প্রজেক্ট অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে দেখছে। এটি দেশের সম্মান ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়।’’
অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন এক ধরনের প্রতিরোধমূলক টিকা, যা র্যাবিস ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করে। র্যাবিস মারণ ভাইরাসজনিত রোগ, যা সাধারণত কুকুর, বিড়াল, বাদুড় বা অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
অ্যান্টিভেনম জীববৈজ্ঞানিক ওষুধ, যা বিষধর প্রাণীর বিষ নিরসনে বা প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত সাপ, মাকড়সা, বিচ্ছু, বা অন্যান্য বিষধর প্রাণীর কামড় বা দংশনে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘‘যেসব ফার্মেসি প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওষুধের গায়ে লাল রঙে অ্যান্টিবায়োটিক না লিখে বাজারে ছেড়ে দেওয়া কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ করা হবে।’’
চিকিৎসা ও গবেষণায় প্রণোদনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষার্থী থেকে চিকিৎসকেরা অনেক সময় কম আকর্ষণীয় বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান না। সরকার সংক্রামক রোগ ও বিষ বিজ্ঞানসহ আটটি মৌলিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শতকরা ৭০ শতাংশ প্রণোদনা দেবে, যা বছরে লাখ টাকারও বেশি হবে।’’
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেকে) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ইনফেকশাস অ্যান্ড ট্রপিকাল ডিজিজ ও টক্সিকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শজিমেকের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াদুদুল হক তরফদার, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন, শজিমেকের সাবেক অধ্যক্ষ ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ইসমাইল পাটোয়ারী, বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. এ. ফয়েজ, বিএমএ বগুড়ার সভাপতি অধ্যাপক ডা. আজফারুল হাবিব রোজ, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মাইনুল হাসান সাদিক, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, টিএমএসএস নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম।
কনফারেন্সের সদস্য সচিব ছিলেন শজিমেকের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ।
দুই দিনব্যাপী এই বৈজ্ঞানিক আয়োজনে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সাপে কাটা, ডেঙ্গু, জলাতঙ্ক, ধনুষ্টংকারসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ও বিষ বিজ্ঞান সম্পর্কিত সাম্প্রতিক গবেষণা এবং চিকিৎসা অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, এ ধরনের বৈজ্ঞানিক সম্মেলন চিকিৎসা গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে ও দেশের চিকিৎসা খাতকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
ঢাকা/এনাম/বকুল