বলিউডের অন্যতম আলোচিত তারকা জুটি আমির খান ও কিরণ রাও। সংসার ভাঙার পর তাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। এখনো তা চলমান। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একাধিকবার কথাও বলেছেন কিরণ রাও। কয়েক দিন আগে ফিল্মফেয়ারকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে কিরণ রাও দাবি করেন- এটি তাদের ‘সুখের বিবাহবিচ্ছেদ।’

বিচ্ছেদের পরেও বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন আমির খান ও তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও। এক সাক্ষাৎসারে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ খুবই মসৃণভাবে ঘটেছিল। কারণ এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের সময় লেগেছিল; যেখানে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ডিভোর্সের ব্যাপারটি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন আলোচনা করেছি। আমরা যখন বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেই তখন তা খুবই সচেতনভাবে নিয়েছিলাম। আমরা কখনো মারামারি করিনি। কিন্তু আমাদের তর্ক হতো। আবার সেটা ১২ ঘণ্টার মধ্যে মিটেও যেত। এ ধরনের মতবিরোধ বাবা-মায়ের সঙ্গেও হতে পারে।’

কিরণ বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখার মতো অনেক কিছু ছিল। আমরা আমাদের সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি যাতে একটা দড়ি টুকরো না হয়ে যায়। বরং একটা দড়ি থেকে গিঁট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমরা সময় নিয়ে সেই গিঁট ছাড়িয়েছি।’

আমির খানের সঙ্গে কিরণ রাওয়ের সম্পর্ক প্রেম-শ্রদ্ধার মোড়কে আবদ্ধ। এ তথ্য উল্লেখ করে পরিচালক কিরণ রাও বলেন, ‘ আমির আমার বন্ধু। কেবল তাই নয় নানাভাবে সে আমার শিক্ষক। সে আমার সাপোর্ট সিস্টেম এবং সবসময় এটা ছিল। কিন্তু এমন কিছু দিন এসেছে, যখন সে আমার প্রতি রাগ করেছে।’

আমির খান ও কিরণ রাও তাদের ডিভোর্সকে ‘সুখের বিবাহবিচ্ছেদ’ বলে অভিহিত করেন। এই তথ্য উল্লেখ করে আমিরের মা-সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন কিরণ রাও। তার ভাষায়— “তার (আমিরের মা) মা এখনো আমার শাশুড়ির মতো। জুনায়েদ, ইরা আমার প্রিয় বন্ধু।’

‘লগান’ সিনেমার সেটে আমির ও কিরণের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। তারও আগে ভালোবেসে পাশের বাড়ির মেয়ে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। কিন্তু তার সেই সংসারও টেকেনি। সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে খতিবকে কুপিয়ে জখম

চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুর রহমানকে (৭৫) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনকে (৪০) ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

আহত মাওলানা নুরুর রহমানকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ মিয়া বলেন, শুক্রবার মাওলানা নুরুর রহমান জুমা শেষে মসজিদে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মসজিদের পাশের সবজি দোকানি বিল্লালও সেখানে ছিলেন। হঠাৎ বিল্লাল একটি চাপাতি নিয়ে মাওলানা নুরুর রহমানের শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন বিল্লালকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ ব্যাপারে মাওলানা নুরুর রহমানের ভায়রা অলিউর রহমান বলেন, জুমার নামাজের আগে আলোচনার সময় বিল্লাল হোসেন বাধার সৃষ্টি করেন। এরপর নামাজ শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ