চট্টগ্রামে খেলা হচ্ছে না তানজিমের
Published: 22nd, January 2025 GMT
সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম হাসান সাকিব শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘাড়ের রগ ফুলে যাওয়ায় তাকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
গত ২০ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে ব্যথা অনুভব করেন সাকিব। এরপর তাকে মাঠে নামায়নি সিলেট। চট্টগ্রামে সিলেটের পরবর্তী ম্যাচ ২৩ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও পাওয়া যাবে না ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট পাওয়া তানজিমকে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে রাইজিংবিডি এ খবর নিশ্চিত হয়েছে।
আট ম্যাচে দুই জয় পাওয়া সিলেটের এখনও সুযোগ আছে প্লে’ অফে যাওয়ার। শেষ চার ম্যাচের চারটি জিতলে তারা সহজেই চলে যাবে শেষ চারে। শেষ দিকের ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও দলের অন্যতম সেরা তারকা তানজিমকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।
জাতীয় দলের এই পেসার বিপিএলের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবেন। এজন্য তাকে বাড়তি চাপ দেওয়ার পক্ষপাতি নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে ঢাকায় ফেরার পর তাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিলেট।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুতিনের ভারত সফর, কী থাকছে অর্থনীতিতে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ ভারতে এসেছেন। এই সফরের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক গুরুত্বও আছে।
বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক বিরোধ তুঙ্গে, সেই সময় ভারতের পরীক্ষিত মিত্র রাশিয়া তার পাশে কতটা দাঁড়াতে পারে, বিশ্লেষকেরা তা দেখার অপেক্ষায় আছেন। এই সফরে অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন কিছু চুক্তি হতে পারে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পার্থক্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি যেখানে বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন বা ৮ হাজার কোটি ডলার, সেখানে রাশিয়ায় তার রপ্তানি মাত্র ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন বা ৪৮৮ কোটি ডলার। গত পাঁচ বছরে ভারত-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়লেও সেই বাণিজ্য মূলত রাশিয়ার দিকেই হেলে আছে। সেই সঙ্গে ভারত সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কেনা কমিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতে আসছেন। খবর ইকোনমিক টাইমস ও দ্য হিন্দুর
গত অর্থবছরে, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালে ভারত ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৮৭২ কোটি ডলার। সেখানে রাশিয়ার রপ্তানি ছিল ৬৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৩৮৪ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই বাস্তবতায় ভারতের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার হারানো একপ্রকার অসম্ভব। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে এত দিন অনড় থাকলেও সম্প্রতি ট্রাম্পের কথামতো রাশিয়ার তেল কেনা কমিয়েছে ভারত। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশটি। ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায় তারা।
যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তখন রাশিয়া ভারতকে আশ্বস্ত করে, তারা ভারত থেকে আরও পণ্য কিনবে। ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই সে কথা বলেছিলেন। ভারত চায় রাশিয়ায় যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক, খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রীর রপ্তানি বাড়াতে। অন্যদিকে রাশিয়া চায়, পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে তাদের রপ্তানি বাড়াতে।
এই বাস্তবতায় রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে বলা হয়, এই সফরে পুতিন ও মোদি রাশিয়া-ভারতের বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন। রাজনীতি, বাণিজ্য, অর্থনীতি—সব ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় কি না, সেটাই এই সফরের লক্ষ্য।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই সফরে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়েও বেশ কিছু চুক্তি হতে পারে।
ভারতের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অতিথি ফেলো আলেক্সিই জাকারভ বলেন, এই শীর্ষ বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির পথ খোঁজা। অর্থাৎ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য যেন একতরফা রাশিয়ার দিকে হেলে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করা।
অর্থনৈতিক সহযোগিতার বহুমুখীকরণরাশিয়া ভারতের মূল অস্ত্র সরবরাহকারী, যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র আমদানি কমিয়েছে। মূলত রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনার কারণেই দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য একতরফাভাবে রাশিয়ার দিকে হেলে আছে।
এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহুমুখীকরণের কথা ভাবছে দুই দেশ। গবেষণা সংস্থা চ্যাটহ্যাম হাউসের তথ্যানুসারে, পুতিনের এই সফরে শ্রমিক সরবরাহের লক্ষ্য চুক্তি হতে পারে। অর্থাৎ ভারতের শ্রমিকেরা যেমন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য উন্নত দেশে যাচ্ছেন, এই চুক্তি হলে দক্ষ ভারতীয় শ্রমিকেরা রাশিয়াও যেতে পারবেন। এই চুক্তির তাৎপর্য বোঝা কঠিন নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। সেটা হলো, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো।
গ্রাফিকস: প্রথম আলো