সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম হাসান সাকিব শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘাড়ের রগ ফুলে যাওয়ায় তাকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।

গত ২০ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে ব্যথা অনুভব করেন সাকিব। এরপর তাকে মাঠে নামায়নি সিলেট। চট্টগ্রামে সিলেটের পরবর্তী ম্যাচ ২৩ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও পাওয়া যাবে না ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট পাওয়া তানজিমকে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে রাইজিংবিডি এ খবর নিশ্চিত হয়েছে।

আট ম্যাচে দুই জয় পাওয়া সিলেটের এখনও সুযোগ আছে প্লে’ অফে যাওয়ার। শেষ চার ম্যাচের চারটি জিতলে তারা সহজেই চলে যাবে শেষ চারে। শেষ দিকের ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও দলের অন্যতম সেরা তারকা তানজিমকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।

জাতীয় দলের এই পেসার বিপিএলের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবেন। এজন্য তাকে বাড়তি চাপ দেওয়ার পক্ষপাতি নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে ঢাকায় ফেরার পর তাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিলেট।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাম দলগুলোর প্রতিক্রিয়া: ‘তফসিল হয়েছে, তবে সামনে বড় চ্যালেঞ্জ’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের বাম দলগুলো। 

তারা দাবি করছেন, তারিখ ঘোষণার পরও মাঠে এখনো কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি,বরং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জনমনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা এখন জরুরি।

আরো পড়ুন:

অসত্য তথ্য ছড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ: সিইসি

তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “১৭ বছর পর অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে পারে এই তফসিল। জনগণও নিজেদের দল ও প্রতীকে ভোট দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”

তিনি মনে করেন, “একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে নতুন অভিযাত্রার ইঙ্গিত হলেও সামনে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে।”

‍“একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের আস্থা ফেরানো জরুরি। ভোটে টাকার খেলা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে”, বলেন সাইফুল হক।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স তফসিল ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এখন থেকে প্রতিটি মুহূর্তে ইসি ও সরকারকে এমন সব পদক্ষেপ নিতে হবে, যা দেখলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে, এবার সত্যিকার অর্থে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।”

তিনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “প্রার্থী হওয়া ও ভোট দেওয়ার সমান সুযোগ সবার জন্য নিশ্চিত করতে ইসিকে আরো সক্রিয় হতে হবে। প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদকে পুনর্গঠন করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতার বার্তা আরো দৃশ্যমান করতে হবে।”

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, “বহুল প্রত্যাশিত তফসিল ঘোষণায় স্বস্তি এসেছে, তবে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ এখনো মসৃণ নয়।”

“নির্বাচনকে টাকার প্রভাব, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, আঞ্চলিকতা এবং প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত করতে হবে। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে”, যোগ করেন তিনি।

সরকার, ইসি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা এবং জরুরি উদ্যোগ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন বজলুর রশীদ ফিরোজ।

ঢাকা/এএএম/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ