রাউজানে গুলি করে ব্যবসায়ীকে হত্যা
Published: 24th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাউজানে শুক্রবার দুপুরে শুঁটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৫) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বেলা ১টার দিকে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আছাদ আলী মাতব্বর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম ওই এলাকার মৃত আবু ছৈয়দ মেম্বারের ছেলে। নগরীর চাক্তাইয়ে জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স নামে তাঁর একটি শুঁটকির দোকান রয়েছে। এ ছাড়া নোয়াপাড়ায় মাকসুদ কমিউনিটি সেন্টার নামে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
একই ঘটনায় আব্বাস উদ্দিন (২৭) মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি নিহত জাহাঙ্গীরের ভাগনে এবং মাকসুদ কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক। তিনি বর্তমানে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ দিদার আলম জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে গত বৃহস্পতিবার দেশে এসেছেন। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে নগরীতে বসবাস করেন। প্রতি শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে এসে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। সেই ধারাবাহিকতায় মোটরসাইকেলে ভাগনে আব্বাস উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি আসার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাউজান থানার ওসি একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ হতাহতের ঘটনা তদন্ত করছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষে অন্তত ২৬টি সংঘর্ষ ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ ও মুন্সিরঘাটায় দুই দফা সংঘর্ষ হয়। তবে নিহত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত ছিলেন না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।