দিনভর ভ্যাপসা গরম ছিল। বিকেলে মেঘে মেঘে আকাশ ঢেকে গেল। দলছুট মেঘ জমাট বাঁধতে না বাঁধতেই দূর থেকে বয়ে আসা বাতাসে ভেসে এল বৃষ্টিভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ। এমনই বিকেলে রওনা হলাম দামারি হাওরে। অনেকে একে বলেন দামারি বিল, কেউ কেউ নাম দিয়েছেন আরেক রাতারগুল।

বছর পাঁচেক আগে এই হাওরের জলে পা ভিজিয়েছি, ঘটা করে পুরো হাওর ঘুরে দেখেছি। শুকনা মৌসুমেও মোটরবাইক নিয়ে হাওরের মাঝখানে গিয়েছি অনেকবার। শুষ্ক কিংবা বর্ষা—দামারির রূপের যেন শেষ নেই। তাই হাওরকে এবার দেখতে চাইলাম অন্য চোখে, অন্যভাবে।

‘দামারি হাওরে’ আধা ডুবো হয়ে আছে হিজল-করচগাছ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী আট শিক্ষার্থী

সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী আট শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে স্মার্টফোন ও প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বিজয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের সায়েদ আতিফ রায়হান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিসা জায়নাহ জামান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাফিম করিম খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মো. রেজওয়ান উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসনিয়া ইফফাত, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মো. সাফিউস সিফাত এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নুফসাত ফারুক ও ওয়াসিফ উদ্দিন। বিজয়ীরা চীনে হুয়াওয়ের সদর দপ্তরে হালনাগাদ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আজ শনিবার ঢাকায় হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আটজন শিক্ষার্থীরা হাতে সম্মাননা ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতায় স্নাতক পর্যায়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রকল্পগুলোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে সেরা আট বিজয়ী নির্বাচন করা হয়েছে। সম্মাননা ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনেসকো ঢাকার হেড অব অফিস অ্যান্ড রিপ্রেজেনটেটিভ সুশান ভাইজ বলেন, ‘হুয়াওয়ের “সিডস ফর দ্য ফিউচার” প্রতিযোগিতার কৌশলগত অংশীদার হিসেবে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে একটি দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করছে। বিজয়ী তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা, উৎসাহ ও অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তাঁরা ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখেন। আমি বিশ্বাস করি, এমন মেধাবী তরুণ-তরুণীরাই আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবেন।’

হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিচালনা বোর্ডের পরিচালক লিন হাই বলেন, ‘বাংলাদেশে সিডস ফর দ্য ফিউচারের মাধ্যমে হুয়াওয়ে প্রতিবছর মেধাবীদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ হুয়াওয়ের “বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য” লক্ষ্যের বাস্তব প্রতিফলন, যা এ দেশের মেধাবীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী আইসিটি খাত গড়ে তোলার প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে মূল্যবান শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে হুয়াওয়ে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বাস্তব অভিজ্ঞতার পাশাপাশি খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ