রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন। ইনস্টাগ্রামে পরপর তিনটি পোস্ট দিয়ে তাঁর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপ ও চিত্র দেখে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এটা এক ভয়াবহ চিত্র, মানসিক অবস্থা ভেঙে দেওয়ার মতো দৃশ্য।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগের হত্যার ঘটনায় বাঁধনের পরিবারও উদ্বিগ্ন বলে জানালেন। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মা আমার নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। আর আমার মেয়ে—সে শুধু আমাকেই পেয়েছে। আমি–ই তার পুরো পৃথিবী। কিন্তু আমি কীভাবে তাকে নিরাপদ রাখি, এমন এক দেশে? আমরা আসলে কী ধরনের দেশে বাস করছি? এখানে নেই কোনো নিরাপত্তা। নেই মন শান্ত করার সুযোগ। আমরা ভেবেছিলাম, সময় বদলাবে। স্বপ্ন দেখেছিলাম, এক নিরাপদ, সুন্দর ভবিষ্যতের। নতুন সরকার এল, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু এখন যা দেখছি, তা ভয়াবহ। আর যদি কোনো নির্বাচিত সরকার পরিবর্তনের সাহস না রাখে, কোনো ভবিষ্যৎ দেখাতে না পারে—তাহলে এর মানে কী? আমি ভীত। আমি ক্ষুব্ধ। আর সবচেয়ে বেশি যেটা, তা হলো আমি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছি।’

আজমেরী হক বাঁধন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি মাহমুদ খালিলের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মী মাহমুদ খালিল। তাঁকে বেআইনিভাবে আটক করে রাখার অভিযোগে তিনি এই আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। ১০০ দিনের বেশি সময় আটক থাকার পর সম্প্রতি লুইজিয়ানার অভিবাসন কারাগার থেকে মুক্তি পান খালিল। 

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন মাহমুদ খালিল। গত ৮ মার্চ নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের লবি থেকে তাঁকে আটক করেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। 

বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে খালিল অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করেছে এবং বেআইনিভাবে তিন মাসের বেশি সময় ধরে তাঁকে আটক রেখেছে। 

ওই আবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। খালিল জানান, তাঁর লক্ষ্য, ট্রাম্প প্রশাসনকে একটি বার্তা পাঠানো যে, তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। কারণ তারা মনে করে, তাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’
তিনি জানান, যদি তিনি কোনো ক্ষতিপূরণের অর্থ পান, তবে সেই অর্থ ট্রাম্প প্রশাসনের ফিলিস্তিনপন্থিদের দমনে ‘ব্যর্থ’ প্রচেষ্টার ভুক্তভোগী অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন। তিনি একটি আনুষ্ঠানিক ক্ষমা এবং প্রশাসনের নির্বাসন নীতিতে পরিবর্তনেরও দাবি করেছেন। 

ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একজন মুখপাত্র খালিলের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, খালিলের ‘ঘৃণামূলক আচরণ ও বক্তব্য’ ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি ছিল। তাঁকে আটক করে রাখা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। 

১০৪ দিন আটক থাকার পর গত ২০ জুন একজন ফেডারেল বিচারক খালিলকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারক বলেন, খালিলকে পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সরকারি প্রচেষ্টা অসাংবিধানিক। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে করোনায় একজনের মৃত্যু
  • ‘৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে’ পল্লবীতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলি,আহত এক
  • সুপারম্যান ট্রাম্প
  • ব্যবসায়ী হত্যার শাস্তি দাবি জবি ছাত্রদলের
  • পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মারধরে মার্কিন নাগরিক নিহত, তদন্তের দাবি
  • জামা-জুতাও নিয়ে গেল ছিনতাইকারীরা, ভিডিও ভাইরাল
  • প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে দুই প্রস্তাব
  • বৃষ্টির প্রেমে তিশা ও কিছু ছবি
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি মাহমুদ খালিলের