হবিগঞ্জে হাত-পা বেঁধে সড়কে ডাকাতির সময় ৩ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিতাইরচক এলাকায় এই ৩ ডাকাতকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার ভোরে নিজামপুর-দরিয়াপুর সড়কে টমটম ইজিবাইক দিয়ে সবজি নিয়ে যাচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তা। এ সময় সড়কের আমবাগান এলাকায় পৌঁছলে কয়েকজন ডাকাত তাদের ইজিবাইক আটক করে। পরে ডাকাতরা চালক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার হাত-পা বেঁধে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে ডাকাতদের ধাওয়া করে। 

এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও ৩ জনকে আটক করে জনতা। আটককৃতদের কাছ থেকে ছুরি, রশি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসেন তারা।

আটককৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধরিয়াপুর গ্রামের ঘিরজু মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া, কদর আলীর ছেলে মহিবুর রহমান ও হালিম মিয়ার ছেলে সবরম হাসান।

ইজিবাইকচালক রিয়াজ মিয়া বলেন, ‘আমরা সবজি নিয়ে আসার সময় আমাদের হাত-পা বেঁধে তারা টমটম ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় আমি ডাকাতদের চিনে ফেললে তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলমগীর কবির বলেন, ‘ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কবলে পড়া ইজিবাইকচালক বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা মামলা নিয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।’

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি একই এলাকায় সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা কৃষি কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও অপর এক ব্যক্তির  পথরোধ করে ২টি মোটরসাইকেল, ৫টি মোবাইল ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়। প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী। ঘটনার ৯ দিন পর পুনরায় একই স্থানে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য় এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ