হলিউডের ফ্যান্টাসি-অ্যাকশন ঘরানার সিনেমা দেখে দর্শক যেমন বিস্মিত হন, তেমনি প্রেমের সিনেমা দেখেও মুগ্ধতার শেষ নেই! শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তার আগে দেখে নেওয়া যেতে বিশ্বখ্যাত পাঁচ রোমান্টিক সিনেমা।
ক্যাসাব্লাঙ্কা
মাইকেল কার্টিজ নির্মিত সিনেমা ‘ক্যাসাব্লাঙ্কা’। ১৯৪২ সালে মুক্তি পায় এটি। এতে অভিনয়ে করেছেন— হাম্ফেরি বোগার্ট, ইনগ্রিড বার্গম্যান, পল হেনরিড, ক্লাউডি রেইনস, কনরাড ভেইদ, পিটার লরে প্রমুখ। বলা যায়, কীভাবে প্রেমে পড়তে হয়, ভালোবাসতে হয়, বিংশ শতাব্দীতে তা শিখিয়েছে এই সিনেমা।
ব্রিফ এনকাউন্টার
নোয়েল কাউওয়ার্ডের লেখা ‘স্টিল লাইফ’ নাটক অবলম্বনে ‘ব্রিফ এনকাউন্টার’ সিনেমা নির্মাণ করেন ডেভিড লিন। ১৯৪৫ সালে মুক্তি পায় এই ব্রিটিশ রোমান্টিক সিনেমা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন— সিলিয়া জনসন, ট্রেভর হাওয়ার্ড, স্ট্যানলি হলওয়ে প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
গ্র্যামির রেড কার্পেটে গায়কের স্ত্রী নগ্ন, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতলেন যারা
টু ক্যাচ আ থিফ
আলফ্রেড হিচকক নির্মিত আলোচিত সিনেমা ‘টু ক্যাচ আ থিফ’। ডেভিড ডজের লেখা ‘টু ক্যাচ আ থিফ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয় এটি। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় এটি। সত্তর বছর আগে মুক্তি পেলেও ভালোবাসার অনবদ্য উপস্থাপনা এখনো দর্শক হৃদয়ে গেঁথে আছে। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ন করেন— ক্যারি গ্র্যান্ট, গ্রেস কেলি, জেসি রয়েস, জন উইলিয়ামস প্রমুখ।
টাইটানিক
হলিউডের বরেণ্য নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। এ পরিচালকের সিনেমা মানেই অসাধারণ আর ব্লকবাস্টার। জেমস ক্যামেরন নির্মিত সবচেয়ে আলোচিত, বিখ্যাত আর নজরকাড়া সিনেমাগুলোর অন্যতম ‘টাইটানিক’। ব্যয়বহুল এ সিনেমা ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। বিশ্বের রোমান্টিক সিনেমার প্রসঙ্গ উঠলেই এই সিনেমার নাম চলে আসে। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন— লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট।
আ স্টার ইজ বর্ন
ব্র্যাডলি কুপার ‘আ স্টার ইজ বর্ন’ সিনেমা নির্মাণ করে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন। ২০১৮ সালে মুক্তির পর রোমান্টিক এই সিনেমা দর্শক হৃদয়ে নাড়া দেয়। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটিতে অভিনয়ও করেন এই নির্মাতা। তা ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেন— লেডি গাগা, অ্যান্ড্রু ডাইস ক্লে, ডেভ চ্যাপেল, স্যাম ইলিয়ট প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির হিট প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক লবিংয়ের অভিযোগ
বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে পরিচালিত ৪ হাজার কোটি টাকার ‘উচ্চশিক্ষা বেগবান ও রূপান্তর (হিট)’ প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক লবিংসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, প্রজেক্ট নির্বাচনে মেধা ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে, প্রায় ৪০ শতাংশ লো প্রোফাইলধারী (টোটাল সাইটেশন ১০০ এর কম) গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া ৫০০ সাইটেশনের কম আছে এমন ৪০ শতাংশ গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আরো পড়ুন:
আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবাস উপহার দিল পূর্বালী ব্যাংক
জবিতে বাস সংকট চরমে, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা
এ সময় রিভিউ প্রক্রিয়ার গুণগত মান ও স্বার্থের দ্বন্দ, ‘ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউ’ এর দাবি মিথ্যা, প্রেজেন্টেশনে নিয়ম বহির্ভুত মূল্যায়ন, অঘোষিত বিভাগভিত্তিক বৈষম্য, প্রাক-বাছাই পদ্ধতির অনুপস্থিতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি অবহেলা, রিসার্চ কোয়ালিটির নামে বিভ্রান্তি এবং অনেক রিসার্চ ফিল্ডের প্রতি অবহেলার অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
এছাড়া করোনা মহামারিকালে জাতীয় অবদান থাকা স্বত্ত্বেও প্রকল্প বাতিল, শিল্প সহযোগী (পার্টনারিং এগ্রিমেন্ট) ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্টে অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বা বিভাগভিত্তিক প্রকল্প সংখ্যা ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য, নৈতিক ও আদর্শগত সংকট, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও তার প্রভাব, চূড়ান্ত বাছাই বোর্ডে তাচ্ছিল্যমূলক ব্যবহার এবং হিট রিভিউ পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ব্যবস্থাপনার নামে অর্থের অপচয় হয়েছে বলেও অভিযোগে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- সুষ্ঠু প্রক্রিয়া অবলম্বন না করায় নির্বাচিত প্রজেক্টগুলো বাতিল করতে হবে; ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান ও প্রকল্প পরামর্শক অধ্যাপক মোজাহার আলীকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে; তাদের যথোপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং নতুনকরে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে রিভিউ করে প্রজেক্ট নির্বাচন করতে হবে।
এসব দাবি না মানা হলে তারা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. সাহাবুল হক, অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে ইউজিসি সদস্য ড.মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খানকে একাধিকবার কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী