সারাদেশে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ঘোষণা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের
Published: 2nd, March 2025 GMT
অবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে সরকারি বেসরকারি ২১৬টি প্রতিষ্ঠানে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করবে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাটস্ শিক্ষার্থী মো.
হাসিবুল ইসলাম শান্ত বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত মাসে নিয়োগ প্রকাশসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুত দেয়। সেই প্রতিশ্রুতি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। জেলায় জেলায় লিফলেট বিতরণও বিক্ষোভ করা হবে।
ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- অবিলম্বে দশম গ্রেডে শুন্যপদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরি করতে হবে। চার বছরের একাডেমিক কোর্স বহাল রেখে কারিকুলাম সংশোধন ও ভাতাসহ এক বছরের ইন্টার্নশিপ চাইছেন তারা।
এছাড়া প্রস্তাবিত অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে বোর্ড গঠন করা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ চেয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই চার দাবিতে গত ৬ মাস ধরে আন্দোলন করছেন তারা।
দেশে ১৬টি সরকারি এবং ২০০টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল রয়েছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। তারা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম য টস শ ক ষ র থ এক ড ম ক ব সরক র ম য টস
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫