বৃষ্টিতে ভেসে গেলে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী কে?
Published: 5th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনাল বৃষ্টিতে ভেসে গেলে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে কে? এই প্রশ্ন ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আসরের গ্রুপপর্বে আগেই তিনটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। এবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল নিয়েও রয়েছে একই শঙ্কা।
বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল ৩টায় শুরু হবে প্রোটিয়া-কিউই লড়াই। তবে বৃষ্টির কারণে যদি ম্যাচটি নির্ধারিত দিনে সম্পন্ন না হয়, তাহলে থাকবে রিজার্ভ ডের সুযোগ। ৫ মার্চ বৃষ্টি বাধায় ম্যাচ অনুষ্ঠিত না হলে, ৬ মার্চ রিজার্ভ ডেতে খেলা গড়াবে। যদি ম্যাচ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়, তবে যেখানে খেলা থেমেছিল, সেখান থেকেই পরদিন শুরু হবে।
তবে মূল ম্যাচ ডে এবং রিজার্ভ ডে— দুই দিনই যদি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ না হয়, তাহলে ফাইনালে যাবে গ্রুপপর্বের শীর্ষে থাকা দল। এই নিয়ম অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা উঠে যাবে ফাইনালে, কারণ গ্রুপ ‘বি’-তে তারা শীর্ষস্থান অর্জন করেছিল।
আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, লাহোরে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দিন আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা বেশি। ফলে ম্যাচ স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবুও, বৃষ্টি হানা দিলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে