মাদক–সংশ্লিষ্টতায় গ্রেপ্তার কানাডার ক্রিকেট অধিনায়ক
Published: 4th, April 2025 GMT
নামিবিয়া সফর শেষে কদিন আগে কানাডায় ফিরেছিলেন। সেখান থেকে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে গিয়েছিলেন জন্মভূমি বার্বাডোজে।
কিন্তু গত রোববার বার্বাডোজের গ্র্যান্টলি অ্যাডামস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতেই তাঁকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। এর পর থেকে তিনি পুলিশি হেফাজতেই আছেন।
বার্বাডোজের পুলিশ বিমানবন্দর থেকে যাঁকে ধরে নিয়ে গেছে, তাঁর নাম নিকোলাস কার্টন; কানাডা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক! গত বছর যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছেন তিনি।
২৬ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডার কার্টনকে গ্রেপ্তারের পেছনে গুরুতর অভিযোগের খবর জানিয়েছে জ্যামাইকার দৈনিক ‘দ্য গ্লিনার’। বিমানবন্দরে জব্দ করা ২০ পাউন্ড (৯ কেজির বেশি) গাঁজা সরবরাহের সঙ্গে নাকি কার্টনের সংশ্লিষ্টতা আছে।
বার্বাডোজের গ্র্যান্টলি অ্যাডামস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখান থেকেই কার্টনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।
তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি।
ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।
সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।
ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’