চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণজনিত হিমোফিলিয়া রোগী বাড়লেও নেই শনাক্তের ব্যবস্থা। ফলে ঢাকায় ছুটতে গিয়ে অনেকেই মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। চিকিৎসা সহজলভ্য না হওয়ায় বন্দরনগরীতে আক্রান্তের ৮২ শতাংশ শনাক্তের বাইরে থাকছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়ার তথ্যমতে, দেশে প্রতি লাখে ১০ জন হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত। ১৭ কোটি মানুষ ধরলে রোগী হওয়ার কথা প্রায় ১৭ হাজার। 
অথচ শনাক্ত হয়েছে তিন হাজারের কিছু বেশি, অর্থাৎ প্রায় ৮২ শতাংশ এখনও শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে।
চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় হিমোফিলিয়ার রোগী মিলছে। বাঁশখালীতেই রয়েছে শতাধিক। শনাক্ত হয়েছে মাত্র ১৬ জন। 
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার রোগী চিকিৎসা পাওয়ার জন্য ছুটে আসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমে) হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগে। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিভাগে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক ও জনবল। পূর্ণাঙ্গভাবে হিমোফিলিয়া নির্ণয়ের ব্যবস্থা না থাকায় কিছু রক্ত 
পরীক্ষা করে রোগীকে জোড়াতালির চিকিৎসা দিচ্ছে বিভাগটি।

এ ব্যাপারে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে হিমোফিলিয়া রোগী। তবে পুরো অঞ্চলের রোগীর জন্য নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুযোগ। চমেক হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগে নেই রোগটি শনাক্তের উপযুক্ত কোনো যন্ত্রপাতি। এটি নিয়ে আমরাও বিব্রত।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে একাধিকবার চিঠি দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা ৮০ শতাংশই গরিব-অসহায়, যাদের পক্ষে বাড়তি টাকা খরচ করে বাইরে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।’

হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.

কামরুল হাসান বলেন, ‘হিমোফিলিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসাসেবার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এখানে রোগটি শনাক্তের কোনো ব্যবস্থায় নেই। জোড়াতালি দিয়ে কি জটিল এ রোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব? প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়া রোগটির চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘হিমোফিলিয়া মারণব্যাধি। সঠিকভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা না পেলে রোগী ঝুঁকিতে পড়ে ও 
অকালে পঙ্গুত্ব বরণ করে। এক পর্যায়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল; দেশে প্রয়োজনীয় ইনজেকশনও পাওয়া যায় না। ফলে সরকারিভাবে রোগটির চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
হেমাটোলজি বিভাগের তথ্যমতে, এক বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রামে রোগী বেড়েছে শতাধিক। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ফ্যাক্টর

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করবেন স্বস্তিকা, তবে...

পশ্চিমবঙ্গে এ সময়ের আলোচিত তরুণ অভিনেত্রীদের একজন স্বস্তিকা দত্ত। অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পরই তিনি ত্রিকোণ প্রেমের সিরিজ ‘খুঁজেছি তোকে রাত বেরাতে’ সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। তাঁর বিপরীতে দুই নায়ক গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। নতুন সিনেমার শুটিং শুরুর আগে আনন্দবাজার পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী। কথা বলেছেন ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের নানা দিক নিয়ে।

১৪ বছর ধরে কাজ করছেন স্বস্তিকা। তাঁর ক্যারিয়ার–দর্শন কী—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এক পেশায় এত দিন ধরে টিকে থাকতে গেলে একটু ভেবে চলতেই হয়। তার জন্য হিসাব করিনি কখনো। কারণ, বেশি বাছাবাছি করলে কাজই পাব না। চেষ্টা করেছি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। এবং সেগুলো নায়িকাকেন্দ্রিক হলে আরও ভালো।’

স্বস্তিকা দত্ত। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ