রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটের তিনটি প্রশ্নে ভুল পাওয়া গেছে।
তবে প্রশ্নে ভুল প্রমাণিত হলে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে নম্বর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাবি উপ-উপাচার্য ফরিদ খান।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শিফটের পরীক্ষায় সেট-৩ এর বাংলা অংশে ১৩, ১৬ ও ২৩ নম্বর এ ভুল লক্ষ্য করা গেছে।
আরো পড়ুন:
রাবিতে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের অপসারণের দাবি
রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুমোদন করে নির্বাচন কমিশন গঠন
প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, ১৩ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, ‘দিলদরিয়া’ কোন সমাস? যার সঠিক উত্তর হবে- রূপক কর্মধারয় সমাস। কিন্তু প্রশ্নপত্রে প্রদত্ত চারটি অপশনের কোনোটিতেই সঠিক উত্তর দেওয়া নেই।
এরপর ১৬ নম্বর প্রশ্নে ‘আন্না’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করতে বলা হয়। যার সঠিক উত্তর হবে- ‘আর+ না’। তবে ‘খ’ অপশনে ‘আব+না’ থাকলেও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। এদিকে অপশনটি সঠিক উত্তরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় ভুল উত্তর করেছেন বলে জানান পরীক্ষার্থীরা।
২৩ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, নিচের কোন গুচ্ছ ‘অমোঘ-মহাপ্রাণ’ ধ্বনি। তবে বাংলা ব্যকরণে ‘অমোঘ-মহাপ্রাণ’ বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এটি হওয়ার কথা ‘অঘোষ মহাপ্রাণ’।
রাবি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক বেলাল হোসেন জানান, প্রশ্নপত্রে কোনো ভুল নেই। সবগুলো প্রশ্নে সঠিক উত্তর দেওয়া আছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শাহিদ ইকবাল জানান, প্রশ্নপত্রের এই তিনটি প্রশ্নে ভুল রয়েছে। পাশাপাশি অমোঘ-মহাপ্রাণ বলে কোনো শব্দ বাংলা ব্যকরণে নেই।
রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান জানান, ভুল হয়ে থাকলে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। যদি ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে এই তিনটি প্রশ্নের নম্বর প্রদান করা হবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ
বিকাশ অ্যাপে লেনদেন করে তার তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঠানো এখন আরও সহজ, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। বিল দেওয়া, পেমেন্ট, বিশেষ করে কাউকে টাকা পাঠানোর পর স্ক্রিনশট শেয়ার করার বিষয়টি চর্চিত এবং প্রায় অবধারিত। গ্রাহকের এই প্রয়োজনকে সহজ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে এক-ক্লিকেই শেয়ার অপশন।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ডমানি করার সাথে সাথেই স্ক্রিনে শেয়ার অপশন দেখতে পান গ্রাহক। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে এবং যে অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, ট্রানজেকশন আইডি, টাকার পরিমাণ, সময়-তারিখ এবং রেফারেন্স -এই তথ্যগুলো শেয়ার স্ক্রিনে দেওয়া থাকে। গ্রাহক এক ট্যাপেই হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ই-মেইলসহ যেকোনো পছন্দের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তথ্য শেয়ার করে দিতে পারেন।
এই পদ্ধতিতে তথ্য শেয়ারের সময় গ্রাহকের সবশেষ ব্যালেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, ফলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্সের তথ্য থাকে সুরক্ষিত।
কোনো গ্রাহক এই শেয়ার অপশন না ব্যবহার করে স্ক্রিনশট দিয়ে তথ্য শেয়ার করতে চাইলেও বর্তমান ব্যালেন্সকে এক ট্যাপেই হাইড করা সম্ভব। বর্তমান ব্যালেন্সের ঠিক পাশেই থাকা ‘আই’ (চোখ) -আইকনে ক্লিক করে বর্তমান ব্যালেন্স হাইড করে রাখতে পারেন।
অনেক গ্রাহক আছেন যারা ম্যাসেজ পাঠানো বা শেয়ারের চেয়ে কল করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সেসব গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় রেখে টাকা পাঠানোর সাথে সাথে পরের স্ক্রিনেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি কল করার অপশনও যুক্ত করা হয়েছে। এতে আর ঐ ব্যক্তিকে কন্টাক্ট লিস্টে গিয়ে কল করতে হয় না। ফলে তার সময় বাঁচে। গ্রাহক পেয়ে যান বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য।
অনেক গ্রাহক আছেন লেনদেন করার পর কেবল ট্রানজেকশন আইডিটি কপি করে কাউকে পাঠান বা কোনো ফরম পূরণ করতেও ব্যবহার করেন। তেমন গ্রাহকদের জন্য এই স্ক্রিনেই কেবল ট্রানজেকশন আইডি কপি করার সুযোগ রয়েছে। ট্রানজেকশন আইডির পাশেই ‘কপি’ চিহ্নিত আইকন ট্যাপ করলেই নম্বরটি ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে যায়। পরে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো উইন্ডোতে পেস্ট করে তথ্যটি কাজে লাগাতে পারেন।
একইভাবে, পেমেন্ট, বিল পে সহ অন্যান্য তথ্য সহজেই শেয়ার করতে পারছেন গ্রাহক। বর্তমান সময়ে এসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা। গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় তাই এমন ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ সেবার সংযোজনে গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজে লাগানোর সাথে সাথে তার সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ঢাকা/টিপু