Samakal:
2025-05-22@16:43:20 GMT

আইফোন নিয়ে কেন উৎকণ্ঠা

Published: 20th, April 2025 GMT

আইফোন নিয়ে কেন উৎকণ্ঠা

সারাবিশ্বে প্রতিবছর ২২ কোটির বেশি আইফোন ইউনিট বিক্রি করে অ্যাপল।
নির্মাতা ফক্সকন এখন আইফোন উৎপাদনে ভারতে কাজ করছে। অ্যাপল ইতোমধ্যে ভারতে ২০ শতাংশ উৎপাদন লক্ষ্য বাড়িয়েছে, যা কার্গো বিমানে পৌঁছে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুত উৎপাদনে বাড়ানো হয় জনবল। ফক্সকন ভারতের চেন্নাই কারখানায় গত বছর দুই কোটি আইফোন তৈরি করেছে। আইফোনের দুটি মডেল ১৫ ও ১৬ রয়েছে ওই উৎপাদন তালিকার শীর্ষে।
যুক্তরাষ্ট্র আইফোনের সর্ববৃহৎ বিপণিকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত। শুরুতেই চীন থেকে আইফোন আমদানির ওপর বেশি নির্ভরশীল অ্যাপল। ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিশেষ উদ্যোগে আইফোন আমদানি করেছে অ্যাপল। কারণ,  চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের শুল্কহার নীতি চীনের তুলনায় ভারতে অনেক কম (মাত্র ২৬ শতাংশ)। কিছুদিন আগে অ্যাপল ট্রাম্পের শুল্কহার থেকে রেহাই পেতে ভারত থেকে কয়েকটি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে, সংখ্যায় যা প্রায় ১৫ লাখ ইউনিট। রিপোর্ট বলছে, অ্যাপল হুট করে দাম বাড়ার শঙ্কায় গোপনে এমন কৌশল নিয়েছে। ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কের চাপ কমাতে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন আমদানি বাড়িয়েছে অ্যাপল।

জানা গেছে, মূলত ট্রাম্পের শুল্ক ধাক্কার চাপ সামলাতে এমনটা করেছে অ্যাপল। চীনের বদলে ভারতে আইফোন উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করেছে অ্যাপল। ইতোমধ্যে অ্যাপল ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় কমিয়ে ছয় ঘণ্টা করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেনদরবার করছে।
রিপোর্টে প্রকাশ, গত মার্চ থেকে ছয়টি কার্গো জেট (প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১০০ টন) চেন্নাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে। আইফোন-১৪ মডেলের প্যাকজের ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। প্যাকেজিং হিসাব বলছে, ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ছয়টি কার্গোতে প্রায় ১৫ লাখ আইফোন ইউনিট রপ্তানি হয়ে থাকতে পারে। অবশ্য অ্যাপল ও ভারতের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানির বিষয়ে কিছুই বলেনি; বরং বিশেষ গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেছে।

চীনের ওপর শুল্কহার বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন ট্রাম্প। আগে ৫৪ শতাংশ হারে আইফোন-১৬ প্রো ম্যাক্স মডেলের দাম পড়ত ১ হাজার ৫৯৯ ডলার। নতুন শুল্কে যা বেড়ে ২ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছে যাবে। এতে ক্রেতার ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। ভাটা পড়ত আইফোন বিপণনে। সম্ভাব্য ক্ষতির মুখে পড়ত অ্যাপল। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইফ ন অ য পল র ওপর আইফ ন আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আসনের দাবিতে চবির হলগেটে শিক্ষার্থীদের তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে বৈধভাবে আসন বরাদ্দ দিয়ে পরে স্থগিত করায় হলগেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় শিক্ষার্থীরা ফরহাদ হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে সাড়ে ৭টায় হলগেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা হলেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৭ মে উপ-উপাচার্য কামাল স্যার আমাদের বলেছিলেন, আজ (২২ মে) আমাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আইসিটিতে গেলে সেল পরিচালক আমাদের জানিয়েছেন, এখন সমাধান অসম্ভব। কখন সমাধান হবে সে সম্পর্কেও তিনি কথা বলতে চান না।

আরো পড়ুন:

নটরডেমের শিক্ষার্থী ধ্রুবর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি

রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, সেল পরিচালক বলেছেন, এর সমাধান একমাসেও হতে পারে, ছয় মাসেও লাগতে পারে। গত ১৩ এপ্রিল থেকে আমরা ছন্নহারা হয়ে ঘোরাঘুরি করছি। এমতাবস্থায় আমরা হলগেটে তালা দিয়েছি। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা হল ছাড়ব না।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, “দীর্ঘ দেড় মাস ধরে আমরা আমাদের বৈধ সিট নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি। প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করলেও কার্যত আমাদের দিকে তাদের কোনো দৃষ্টি নেই। সমাবর্তনের পরে হলে ওঠাবে বললেও এখন তাদের কোনো সাড়া নেই। আমরা আর কারো কাছে ঘুরব না। আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।”

দীর্ঘদিন পর ফরহাদ হোসেন হলে আবাসন বরাদ্দের আবেদন নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর ভিত্তিতে হলে আসন বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করে ফলাফল দেয় আইসিটি সেল। হলে সিট সংখ্যা ৭০০। এর মধ্যে ৫৩০ জন শিক্ষার্থীর সিট নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অধিকাংশ হলটিতে উঠেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় বাকি ১৭০ জন শিক্ষার্থীর সিট স্থগিত রাখা হয়েছে।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ