Prothomalo:
2025-04-30@23:58:32 GMT

এভাবে আর কত মৃত্যু দেখতে হবে

Published: 21st, April 2025 GMT

পাহাড়, নদী ও সমুদ্র—এ তিন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত শহর চট্টগ্রাম। ফলে শহরটির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও অন্য শহরের তুলনায় ভিন্ন। শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন খাল ও সড়কের বেশির ভাগের অবস্থানই পাশাপাশি। খালগুলোতে যেভাবে বা যে প্রকারে নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকা দরকার, তা অনুপস্থিত। খালের মধ্যে পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবারও এক শিশু খালে পড়ে যায়, পরের দিন আরেক খালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নগরবাসীর প্রশ্ন, এভাবে আর কত মৃত্যু দেখতে হবে!

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, একটি পরিবার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি উল্টে খালে পড়ে যায়। মা ও দাদি দুজন উঠে আসতে পারলেও স্রোতে ভেসে যায় সঙ্গে থাকা শিশু। শুক্রবার রাত আটটার দিকে কাপাসগোলার হিজড়া খালে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উদ্ধারে সিটি করপোরেশানের উদ্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। ডুবুরিরাও তল্লাশি চালান। পরদিন প্রায় চার কিলোমিটার দূরের চাক্তাই খালে ভেসে ওঠে শিশুটির মরদেহ।

রিকশা পড়ে যাওয়ার স্থানটিতে পরদিন বাঁশের বেষ্টনী বসানো হয়েছে। অনেকে বলছেন, সেখানে আগেই বেষ্টনী ছিল। কিন্তু খালের কাজ করতে গিয়ে সেটি সরিয়ে ফেললে পরে আর বসানো হয়নি। যা–ই হোক, বেষ্টনী থাকলে হয়তো এ দুর্ঘটনা না–ও ঘটতে পারত। আবার অনেকে বলছেন, বেষ্টনী থাকলেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতই।

উন্মুক্ত নালা বা খালের পাশে সড়ক দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে ব্যাটারিচালিত রিকশার গতি নিয়ন্ত্রণ বা ডিজাইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি আমাদের ভাবতেই হবে। প্যাডেলচালিত রিকশাতে শুধু একটি মোটর লাগিয়ে দিয়ে যেভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা নামানো হচ্ছে রাস্তায়, তা যেকোনো প্রকারে রোধ করা দরকার। ব্যাটারিচালিত রিকশার ডিজাইন কেমন হবে, তার চলাচল কীভাবে হবে, এ–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে আসতেই হবে। এ ছাড়া এ–সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের কোনো উপায় নেই।

চট্টগ্রাম শহরে গত ছয় বছরে নগরে খাল-নালায় পড়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনার পর খাল-নালা নিরাপদ করার প্রসঙ্গটি আবার সামনে এসেছে। সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

আমরা আশা করব, নগরীর খাল ও নালাগুলো সরকারি যে সংস্থার অধীনে, সেখানে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তারা নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। আসন্ন বৃষ্টি মৌসুমের আগেই কাজটি শুরু হোক। আমরা এমন মৃত্যুর ঘটনা আর দেখতে চাই না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ষ টন র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ