বরগুনায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্
Published: 3rd, May 2025 GMT
বরগুনার তালতলীতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহীম ওরফে জসিম (২২) গ্রেপ্তার হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) পাথরঘাটার চরদুয়ানি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানা পুলিশ।
আসামি ইব্রাহীম ওরফে জসিম পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের আ. মজিদ হাওলাদারের ছেলে।
তালতলী থানা পুলিশ জানায়, গত ২৮ এপ্রিল কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ইব্রাহীমের অবস্থান শনাক্ত করে শুক্রবার ভোরে তালতলী ও পাথরঘাটা থানা পুলিশের সহয়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/ইমরান/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আনিসুল হক, মোশাররফ হোসেন, বাবুল সরদার রিমান্ডে
রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। জুট ব্যবসায়ী মো. মনিরকে হত্যার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আনিসুলকে গ্রেপ্তারসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।
অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের উপপরিদর্শক বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত আনিসুলের পাঁচদিন ও অপর দু’জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হত্যা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।
হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল এই মহাসমাবেশের ডাক দেয়। এতে ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন অংশ নেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে বাদী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানা হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।