ম্যাচটা গুজরাট টাইটানস সহজেই জিতেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে ৩৮ রানে। ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন শুবমান গিল নিজেও। টানা তৃতীয় ফিফটি করার পথে খেলেছেন ৩৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস।

তবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গিল গতকাল নিজেকে জড়িয়েছেন বিতর্কিত ঘটনায়। মেজাজ হারিয়ে তর্ক করেছেন আম্পায়ারের সঙ্গে, তা–ও একবার নয়, দুবার। গিলের এমন ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনার দিনে ‘ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড’ তালিকায় ১০ দলের মধ্যে তলানিতে নেমে গেছে গুজরাট।

২৫ বছর বয়সী ভারতীয় ওপেনার প্রথমবার মেজাজ হারান নিজের আউটের পর। হার্শাল প্যাটেলের থ্রোতে উইকেটকিপার হাইনরিখ ক্লাসেনের হাতে রানআউট হন তিনি। রিপ্লেতে অবশ্য স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না স্টাম্পের বেল কি বল লেগে পড়েছে, না ক্লাসেনের গ্লাভস লেগে পড়েছে। তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর উঠে যাওয়ার সময় এ নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গিল। বাউন্ডারি পেরিয়ে ডাগআউটে যাওয়ার সময় চতুর্থ রেফারি অভিজিৎ ভট্টাচার্যের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে।

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানান গুজরাট অধিনায়ক শুবমান গিল।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম প য় র

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ জীবনে সন্তানেরাও ছেড়ে চলে যান আলোচিত এই নায়িকার

রাজ কাপুর আর যশ চোপড়ার ছবিতে ছিলেন তিনি; অভিনয় করেছেন রাজেশ খান্না, দেব আনন্দদের মতো তারকাদের সঙ্গে। অথচ ব্যক্তিজীবনে তিনি হয়ে পড়েছিলেন অবহেলিত—সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর একাই কাটিয়েছেন জীবনের শেষ ১২ বছর।
অভিনেত্রী অচলা সচদেবের চলচ্চিত্রজীবন যেন সিনেমার মতোই। দেব আনন্দ, রাজ কাপুর, যশ চোপড়া, রাজেশ খান্না—বলিউডের সেরা–সেরাদের সঙ্গে একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-তে কাজলের দাদির চরিত্রে তাঁকেই দেখা গিয়েছিল। আবার ১৯৬৫ সালের ‘ওয়াক্ত’ ছবির অমর গান ‘আয়ে মেরি জোহরা জবীন’-এর নায়িকাও ছিলেন অচলা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক অভিনেত্রীর মতোই তাঁকেও মা-দাদির চরিত্রে সীমাবদ্ধ হতে হয়েছিল, তবু ২০০০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত কাজ চালিয়ে গেছেন—করণ জোহরের ‘কাভি খুশি কাভি গম’ ছিল তাঁর শেষ দিকের আলোচিত কাজগুলোর একটি।

পঞ্চাশের দশকে শুরু হওয়া অচলার ছিল দীর্ঘ ক্যারিয়ার; কিন্তু শেষ জীবনটা ভীষণ কষ্টে কাটাতে হয় তাঁকে। পুনের নিজস্ব দুই কামরার ফ্ল্যাটে একাই থেকেছেন এক দশকেরও বেশি সময়, পাশে ছিলেন কেবল এক সেবিকা। দুই সন্তানের কেউই তাঁর খোঁজ নিতেন না। মৃত্যুর আগে নিজের বাড়িটি দান করে দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। বলিউডের জন্য জীবনের বহু বছর দেওয়া অনেক শিল্পীর মতো তিনিও ছিলেন অবহেলার শিকার।

অচলা সচদেব। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ