ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেল আমিরাতের মেয়েরা, হারাল যুক্তরাষ্ট্র
Published: 3rd, May 2025 GMT
আইসিসির ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের নারী ক্রিকেট দল। যুক্তরাষ্ট্র নারী ক্রিকেট দলকে হটিয়ে এই স্ট্যাটাস পেয়েছে তারা। ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের চক্রের জন্য এই স্ট্যাটাস কার্যকর হবে। নারী ওয়ানডে দলের স্ট্যাটাস পাওয়া দলের সংখ্যা মোট ১৬টি।
আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনি তাদের স্ট্যাটাস ধরে রেখেছে। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড স্ট্যাটাস ধরে রাখে।
অন্য দিকে নেদারল্যান্ডস ও পাপুয়া নিউগিনি তাদের টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে। টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৬তম অবস্থানে থাকায় তারা স্ট্যাটাস পেয়েছে।
আইসিসির টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। দুইয়ে আছে ইংল্যান্ড ও তিনে আছে ভারত। বাংলাদেশ ৯ম স্থানে থাকলেও জায়গা হারিয়েছে। আয়ারল্যান্ড নয়ে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ নেমে গেছে ১০ এ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
বিরে রুমা: মদিনার পানির সংকট দূর করেছে যে কুয়া
মদিনা শহরের ধর্মীয় নিদর্শনগুলোর মধ্যে বিরে রুমা বা রুমা কুয়া একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই কুয়াটি শুধু পানির উৎস নয়, বরং ইসলামি ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়ের সাক্ষী। মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে মদিনার মুসলিম সম্প্রদায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছিল। এই সংকট দূর করতে উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর অবদান এবং তাঁর মহানুভবতা বিরে রুমা কুয়াকে ইসলামের ইতিহাসে একটি গৌরবময় স্থান দিয়েছে।
সে সময় মদিনায় রুমা নামে এক ইহুদির একটি বড় কুয়া ছিল। এই কুয়ার মালিক মুসলিমদের কাছে চড়া মূল্যে পানি বিক্রি করত। এদিকে মুসলিমরা পানির তীব্র সংকটে পড়েছে। এই সংকটের সময় মহানবী (সা.) উপস্থিত সবাইকে বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে এই কুয়া ক্রয় করে মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ করে দেবে? আর এটা যে করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে একটি ঝরনা দান করবেন।’
এই আহ্বান শুনে উসমান (রা.) ইহুদির কাছে কুয়াটি ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে সে কুয়াটি বিক্রি করতে রাজি হলো না। পরে উসমান (রা.) অর্ধেক কুয়া ক্রয়ের প্রস্তাব করেন, অর্থাৎ ইহুদি একদিন নিজে পানি নেবে এবং অন্যদিন উসমান (রা.) পানি নেবেন বলে সম্মত হয়। উসমান (রা.) তাঁর নির্ধারিত দিনে মুসলিমদের বিনা মূল্যে পানি বিতরণ শুরু করেন। এতে ইহুদির ব্যবসায় সংকট দেখা দিলে সে পুরো কুয়া বিক্রি করতে সম্মত হয়। উসমান (রা.) ৩৫ হাজার দিরহামের বিনিময়ে পুরো কুয়ার মালিকানা লাভ করেন এবং তা মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ করে দেন।
আরও পড়ুনমদিনার ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখছেন হজযাত্রীরা২৬ জুন ২০২৪উসমান (রা.)-এর কাজটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
বর্তমানে রুমা কুয়াটি সৌদি আরবের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন। কুয়াটি এখনও সক্রিয় এবং এর পানি দিয়ে খেজুরবাগানে সেঁচ দেওয়া হয়। আয়তনে কুয়াটি ৮ মিটার গভীর এবং ৩.৬ মিটার চওড়া। বর্তমানে কুয়ার অবস্থান আকীক উপত্যকার মাঝখানে এবং মসজিদে কিবলাতাইন থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে। কুয়ার চারপাশে একটি বাগান রয়েছে। সৌদি সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় বাগানটিকে পরীক্ষামূলক কৃষি কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
রুমা কুয়ায় যেতে হলে মসজিদে নববি থেকে মানাখা সড়ক ধরে উত্তর দিকে সুলতানা সড়কে যেতে হবে। এই সড়কটি বর্তমানে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক নামে পরিচিত। সেখান থেকে ডান দিকে একটি কালো পাহাড় পড়ে। পাহাড়ের পাশ দিয়ে পশ্চিমমুখী রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে রুমা কুয়া দেখতে পাওয়া যায়।
রুমা কুয়া শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থানই নয়, বরং এটি ইসলামি বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের এক জীবন্ত সাক্ষী, যা মুসলমানদের জন্য গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস।
আরও পড়ুন মদিনা যাত্রায় মনের কোণে যত কথা২১ জুন ২০২৪