আ. লীগ নিষিদ্ধই বড় সংস্কার, হেফাজতের কর্মসূচিতে হাসনাত
Published: 3rd, May 2025 GMT
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন মেনে নেওয়া হবে না। শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না। এই সংস্কার দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে, জানাজা হয়েছে দিল্লিতে।
তিনি বলেন, ভুলে গেলে চলবে না, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। একাত্তরপরবর্তী সময়ে আপনারা দেখেছেন, শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। এই বাকশালি দিয়ে ৩০ হাজার জাসদকর্মীকে হত্যা করে সারা দেশে কসাইতন্ত্র কায়েম করেছে। তাদের লুটপাটের কারণে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজস্ব খাত সংস্কার আলোচনা চালাতে কমিটি করেছে এনবিআর
রাজস্ব খাতের সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে শুল্ক ও কর ক্যাডার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ নতুন কমিটি গঠন সংক্রান্ত এ আদেশ জারি করেছে এনবিআর।
কমিটির সদস্যরা হলেন এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এ ম আবুল কালাম কায়কোবাদ, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) ফারজানা আফরোজ, সদস্য (কর অডিট ইন্টেলিজেন্স ও ইনভেস্টিগেশন) আলমগীর হোসেন, সদস্য (কাস্টমস নিরীক্ষা, আধুনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (কর) মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও সদস্য (ভ্যাট নীতি) আবদুর রউফ।
এ কমিটি রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সঙ্গে সমন্বিতভাবে সভা করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। পরবর্তী সময়ে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ) ক্যাডারের প্রতিনিধির পরামর্শ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ২৬ মে সরকার ঘোষণা দেয়, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এনবিআর নিয়ে জারি করা অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আজ একটি কমিটি গঠন করা হলো।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবি মূলত চারটি। প্রথমত, জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা; দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা; তিন, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা; চার, এনবিআরে প্রস্তাবিত খসড়া ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ব্যবসায়ী সংগঠন, সুধী সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে রাজস্বব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।