আপনিও গড়তে পারেন নতুন দল, সুবিধাও অনেক!
Published: 3rd, May 2025 GMT
নতুন দল প্জারথধতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশে তুমুল গতিতে রাজনৈতিক দল গঠন শুরু হলো। কেউ দল বানাচ্ছেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে, কেউ চাচ্ছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। দল গঠনের আগে কেউ ভেবে দেখছেন না তাঁদের আগেও অন্য দল ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার কথা ঘোষণা করেছে এবং সেই দলে যোগ দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা আরও ত্বরান্বিত করা যায় কি না! গণতন্ত্রের জন্য যাঁরা নতুন দল করছেন, তাঁদের ব্যাপারেও একই কথা বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা তেমন কঠিন কিছু নয়। প্রাথমিকভাবে কিছু লোক লাগবে। কতজন লাগবে তার গৎবাঁধা নিয়ম নেই, যে কজন জোগাড় করা গেছে, তাতেই চলবে। তবে একজন আহ্বায়ক বা কনভেনর তো লাগবেই। যিনি কনভেনর তিনি যদি কিছুটা পরিচিত লোক হন, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
যেমন ইলিয়াস কাঞ্চন নতুন দল করলেন, সবাই চেনেন; সিনেমার নায়ক ছিলেন, দীর্ঘদিন কাজ করেছেন রাস্তাঘাট পথচারীদের জন্য সুরক্ষিত করতে। এখন দেশকে সুরক্ষিত করতে চান। কনভেনর পরিচিত না হলেও ক্ষতি নেই, পরিচিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। একটা ব্রশিওরে সুন্দর একটা ছবি এবং তার জনহিতকর কাজকর্ম সব বর্ণনা করে সাংবাদিকদের অনুরোধ করতে হবে একটু ভালো করে ছাপাতে।
দলের নামদলের নামটা ঠিক করা একটু ট্রিকি, বেশ হুঁশিয়ারভাবে করতে হবে। কতগুলো নাম আছে যেমন জনতা, জাতীয়, গণ, ইনসাফ—এ রকম নাম মানুষ খুব পছন্দ করে। মুশকিল হলো, এ নামগুলো আগেই অন্য পার্টিরা নিয়ে নিয়েছে। যেমন জনতা নামটা ইলিয়াস কাঞ্চনের ‘জনতা পার্টি’, ডেসটিনির রফিকুল আমীনের ‘আ-আম জনতা পার্টি’। আরও আছে ‘মাইনরিটি জনতা পার্টি’ অনেকেই ব্যবহার করছে। তবে ‘আসল জনতা পার্টি’, ‘খাঁটি জনতা পার্টি’' এসব নাম এখনো পাওয়া যাচ্ছে। ‘জাতীয় সংস্কার পার্টি’ও ভালো নাম, সংস্কারের জনপ্রিয়তা এখন বেশ তুঙ্গে। বেশি জটিল নাম বা কাব্যিক নাম মানুষ পছন্দ করে না।
বিগত সরকারের আমলে অনেক চেষ্টা হয়েছিল ‘তৃণমূল’ নামটাকে দাঁড় করাতে, সম্ভব হয়নি। পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের রাজনীতিবোধ ও আমাদের রাজনীতিবোধে পার্থক্য আছে।
দল গঠনলোকজনের কথা বলছিলাম, কিছু লোক তো লাগবেই প্রাথমিক পদপদবিগুলো পূরণ করতে। যেসব পদ খালি থাকবে, বলা হবে কনভেনর তাঁকে দেওয়া ক্ষমতাবলে সেসব শিগগির পূরণ করে নেবেন। এরপর যে জিনিসটা দরকার, নতুন দলের একটা সম্মেলন আয়োজন অথবা সংবাদ সম্মেলন করে নতুন দলের ঘোষণা দেওয়া। কোথায় এ কাজটা হবে, সেটা আগেভাগে ঠিক করা খুব জরুরি।
পাঁচ তারকা হোটেলে ঘোষণা দিলে যত সাংবাদিক আসবেন, দুই তারকা হোটেলে তার দুই ভাগও পাওয়া যাবে না। সুতরাং পাঁচ তারকাতে করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর দল ঘোষণার শুভকাজে কিছু ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন পুরোনো রীতি। নতুন দল ঘোষণা তো একটা বড় মাইলস্টোন; আজকাল ছোট দলগুলোর ইফতার পার্টিও সব পাঁচ তারকা হোটেলে হয়ে থাকে। তা না হলে সাংবাদিক ও হিতৈষীরা আসবেন কেন? দুই তারকা হোটেলের চেয়ে বাড়িতে বসেই ইফতার খাওয়াই ভালো।
সবকিছু ঠিকমতো হলে দল গঠন হয়ে গেল। পরের দিন নেতাদের ছবিসহ নতুন দল গঠনের সংবাদ প্রকাশ পাবে সব সংবাদপত্রে। ও হ্যাঁ, দলের একটা অফিস ঠিকানাও লাগবে। আহ্বায়কের বাণিজ্যিক অফিস বা কারও বাসাবাড়ির ঠিকানা দিয়ে আপাতত দলের অফিস চালানো যেতে পারে।
নিবন্ধন লাগবেপার্টি তো হয়ে গেল। এরপর কী? মূল উদ্দেশ্য, সামনে ইলেকশন, ইলেকশনে দাঁড়াতে হবে পার্টির নেতাদের, সম্ভব হলে ৩০০ আসনে। রাজনৈতিক দল গঠন করলেই নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। আরও ঝামেলা আছে, নতুন দলকে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তগুলো কিছুটা কঠিন, আবার তেমন কঠিনও নয়, তা নির্ভর করে নেতারা কীভাবে হ্যান্ডেল করবেন। তবে এবার একটা সুবিধা আছে। এনসিপি নামে একটা নতুন দল হয়েছে।
এনসিপিকে মনে করা হয় সরকারের খুব স্নেহভাজন দল। আশা করা যায়, এনসিপির জন্য এবার নিবন্ধনপদ্ধতি কিছুটা শিথিল থাকবে। সেই সুযোগে হয়তো অন্য নতুন দলগুলোও এনসিপির পিছু পিছু নির্বাচন কমিশনে ঢুকে যেতে পারবে। একবার নিবন্ধন পেয়ে গেলে নতুন দলকে আর পায় কে! সামনে অনেক সম্ভাবনা। নিবন্ধন না পেলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দল আছে, নাম আছে, অনেক বড় জোটের নতুন দলকে লাগবে জোট আরও বড় করতে।
নিবন্ধন আছে, নিবন্ধন নেই, সব নতুন দলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলো নিয়েই আমরা এখন কথা বলব।
জোটেই সিদ্ধিনির্বাচন যতই কাছে আসবে, দলগুলো জোট বাঁধবে। নির্বাচনের আগে দেশে দুটি জোট থাকবে। দুটি জোটের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে, কোন জোট কত বড়। সেটা নতুন দলগুলোর জন্য সুযোগ এনে দেবে, যেকোনো একটা জোটে ঢুকে পড়ার। একবার জোটে ঢুকলে জোটের থেকে অন্তত একটা সিটে মনোনয়ন চাওয়া খুবই যুক্তিসংগত। আর মনোনয়ন না পেলেও জোট যদি জিতে যায়, অনেক অনেক সুযোগ সামনে। সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়ার কথাই ধরুন। জোটের মনোনয়ন চেয়েও পেলেন না। জোট নেত্রী নির্বাচনে জিতে তাঁকে শিল্পমন্ত্রী বানিয়ে ফেললেন, মন্ত্রী নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন।
পার্লামেন্টে একটা আসন চাইসব দলকে যে জোটে ঢুকতে হবে, তা নয়। ধরুন, নতুন দল গঠিত হয়েছে একজন বিত্তবানকে সংসদে নিতে। তাঁর রয়েছে নিজস্ব টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র এবং আরও কত কি! জোটের পিছে ঘুরে কাজ নেই। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় টাকাপয়সা খরচ করে নির্বাচিত হতে পারেন। নির্বাচনের আগে গরিবদের জন্য চাল, ডাল, শাড়ি, লুঙ্গি; একটু বেশি বৃষ্টি হলে বন্যার ত্রাণ; মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল–কলেজে সাহায্য—এগুলো সব পূর্বপরীক্ষিত, অনেকেই ফল পেয়েছেন নির্বাচিত হয়ে। একটা নতুন দলের জন্য একজন পার্লামেন্ট সদস্যও কম কিছু নয়।
আওয়ামী লীগের বেকারদের নমিনেশনআওয়ামী লীগের এত এত ঝানু নেতা, গত ১৫ বছরে দল যখন ক্ষমতায় ছিল, তাঁরা অনেক টাকাকড়ি করেছেন। তাঁরা এখন নিজের বাড়িতে ঝিমুচ্ছেন। নির্বাচন কাছে এলে ঝিমুনি কাটিয়ে চাঙা হবেন। কোনো রাজনৈতিক নেতাই নির্বাচনের সময় চুপচাপ থাকতে পারেন না। আওয়ামী লীগের নেতাদেরও মনোনয়ন দরকার হবে।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন যদিও এখনো আছে, তবে আওয়ামী লীগের ব্যানারে নির্বাচন করা ঝুঁকিপূর্ণ। বুদ্ধিমানের কাজ হবে, অন্য পার্টির নমিনেশন নেওয়া। পুরোনো দলগুলোতে নিজেদের লোকেরাই কামড়াকামড়ি করছেন নমিনেশনের জন্য। এখানেই নতুন দলগুলোর জন্য সুযোগ ও সম্ভাবনা। আওয়ামী লীগের নেতারা অঢেল টাকা খরচ করবেন মনোনয়ন পেতে। এতে লজ্জার কিছু নেই, নিজের দলের নমিনেশনের জন্যও দেদার টাকা দিতে হয় শীর্ষ নেতাদেরকে, তাঁরা বলেন ‘নির্বাচনী খরচ’। অন্য দল থেকে নমিনেশন নিতে একটু বেশি টাকা তো লাগবেই।
দল ভাঙলে আরও লাভদল কিছুদিন পুরানো হলেই ভাঙবে, এটাই স্বাভাবিক। নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল, টাকাপয়সা নিয়ে মতানৈক্য, নমিনেশন নিয়ে টানাহেচড়া এইসব অনেক কারণ থাকতে পারে দল ভাঙার পেছনে। তবে দল ভাঙলেই যে দলের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে তা ভাবার কারণ নেই। দল যখন ভাঙে দুই তিন সপ্তাহ দলের কোন্দলের খবর পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশ পাবে, জনগণ এইসব খবর মনযোগ দিয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা গেছে ভাঙার পর দলের পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে। দলের যেসব লোক চলে গেছেন, তাদের পদগুলো পাওয়ার জন্য নতুন লোকেরা ভিড় করবেন এবং অনেকে বড় অঙ্কের চাঁদা দেবেন। তাতেও দলের লাভ। এটা অনেকটা চতুর কোম্পানিগুলোর স্টক স্প্লিটের মতো, একটা স্টক ভেঙে দুইটা করা হয়, তাতে স্টকের দাম আরও বেড়ে যায়।
সব দরজাই খোলারাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য সাধারণত সব দরজাই খোলা থাকে। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় ডিনার, সরকার সব দলের বড় নেতাদের দাওয়াত পাঠাবে। পরদিন পত্রিকায় নামধাম ছাপা হবে, পরিচিতির গণ্ডিও বাড়বে। সেক্রেটারিয়েটে কাজ? রাজনৈতিক পরিচয়ে আসা খুবই সহজ। আমলারা চান না রাজনৈতিক নেতাদের খেপাতে, কে কখন মন্ত্রী বনে যাবেন, রিস্ক নিয়ে কাজ নেই! আর হ্যাঁ, রাজউকের প্লট, পুরোনো দলগুলোর নেতারা অলরেডি বেশ কটা পেয়ে গেছেন, এখন সময় নতুন দলের নেতাদের। সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ের নিমন্ত্রণ, ক্রিকেট খেলা দেখার প্রিমিয়াম আসন—সব জায়গায় রাজনৈতিক নেতাদের কদর আছে।
সব বিবেচনা করে দেখলে বোঝা যাবে, নতুন দল করা এমন কঠিন কিছু নয়। আর এর সুযোগ ও সম্ভাবনাও প্রচুর। চেষ্টা করলে আপনিও একটা নতুন দল গড়তে পারেন। তবে কোনো কাজই ঝুঁকিবিহীন নয়। ঝুঁকিগুলো আপনাকে খোঁজখবর নিয়ে বের করতে হবে। আমি শুধু একটাই বলতে পারি, রাজনীতিতে এক পক্ষের নেতাদের অপর পক্ষ ইটপাটকেল মারবে, সুযোগ পেলে লাঠিপেটা করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এসবের জন্য কাউকে রাজনীতি ছাড়তে দেখিনি।
সালেহ উদ্দিন আহমদ শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
[email protected]
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য স দলগ ল র দল গঠন মন ত র ল র জন র র জন পর চ ত দল র ন আওয় ম এনস প ইনস ফ র একট
এছাড়াও পড়ুন:
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। ১৯২৫ সালে লেখা অমর এ কবিতার শতবর্ষ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ‘কবর’ কবিতা তৎকালীন সময়ের সমাজের চিত্রকে তুলে ধরেছে।
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন বক্তারা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মফিজ ইমাম মিলন। ৪৮ জন লেখকের লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছে নয়নজুলি প্রকাশনাী।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে জসীমউদ্দীনের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার নানান প্রসঙ্গ। কবিতাটি ১৯২৫ সালে ‘গ্রাম্য কবিতা’ পরিচয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায়।
আলোচকেরা বলেন, ‘কবর’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। কবিতাটি দীনেশচন্দ্র সেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। এমনকি ‘কবর’ পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’ শিরোনামে একটি আলোচনাও লিখেছিলেন ফরওয়ার্ড পত্রিকায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আববার বলেন, ‘কবর’ কবিতার শত বছর পূর্তির ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কবিতাটির শতবর্ষ নিয়ে বই প্রকাশ ব্যতিক্রমী প্রয়াস।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি শহরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের মতো সংগঠন থাকা উচিত। একটা বৃহত্তর পরিবারের মতো কাজ করে তারা। তিনি বলেন, এ ধরনের নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রের বাইরে থেকে দেশ ও সমাজ সম্পর্কে ভাবে। এটা বিশাল শক্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, পক্ষিবিশারদ ইনাম আল হক, কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈন উদ্দীন। গবেষক, সাংবাদিক ও ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী খান, অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘কবর’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।