নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডের পর দুইটি চার দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দুইটি চার দিনের ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দলে সুযোগ পেয়েছেন পেসার এনামুল হক। সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৩৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

ঢাকা বিভাগের হয়ে ৭ ম্যাচে ১৪ ইনিংসে ১৫.৪১ গড় ও ৩.৩৪ ইকোনমিতে লিগের সর্বোচ্চ ৩৬ উইকেট পেয়েছিলেন। লিগে আর কোনো বোলার ৩০ উইকেটের বেশি পাননি। ২০২১ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলেও গত আসরেই আলোচনায় আসেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার। এবার ‘এ’ দলের হয়ে বড় মঞ্চে পারফর্ম করার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।

এছাড়া নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, জাকির হাসান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, অমিত হাসান, নাসুম আহমেদ, ইবাদত হোসেনদের নিয়ে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।  

আরো পড়ুন:

শান্ত কেন দলে, বিপিএল সেরা হয়েও মিরাজ কেন নেই?

লিটনকে অধিনায়ক করে সাত টি-টোয়েন্টির জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা

সিলেটে দুই দল তিনটি ওয়ানডে খেলবে ৫, ৭ ও ১০ মে। প্রথম চার দিনের ম্যাচ সিলেটেই অনুষ্ঠিত হবে। শুরু হবে ১৪ মে থেকে। দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ হবে ঢাকায় মিরপুরে। শুরু হবে ২১ মে থেকে।

সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেবেন নুরুল হাসান সোহান। এই দলের দায়িত্বে আছেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল।

রবিবার (৪ মে) গণমাধ্যমে কোচ বলেছেন, ‘‘জাতীয় দলের যে গ্যাপগুলো আছে সেগুলো পূরণ করা আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি ভালো ক্রিকেট খেলে তো জিততেই চাইব। পাইপলাইন সমৃদ্ধ করাই আমাদের কাজ। কিছু খেলোয়াড় আমরা তৈরি রাখতে চাই জাতীয় দলের জন্য।’’

চার দিনের স্কোয়াড: নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, জাকির হাসান, সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, মাহিদুল ইসলাম, অমিত হাসান, কাজী নুরুল হাসান সোহান, হাসান মুরাদ, নাঈম হাসান, নাসুম আহমেদ, সাঈদ খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, এনামুল হক ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

ওয়ানডের স্কোয়াড: নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, মাহিদুল ইসলাম, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, কাজী নুরুল হাসান, অমিত হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসান, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমান রাজা।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ল ইসল ম উইক ট আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে হবে বিএসএফের ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আরও ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এসব ব্যাটালিয়নে থাকবে প্রায় ১৭ হাজার জওয়ান। পাশাপাশি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিম ও পূর্ব কমান্ডের জন্য দুটি ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ স্থাপন করা হবে। সরকারি সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

পরিকল্পনাটি ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। অনুমোদন চূড়ান্ত হলে এটি বিএসএফের জন্য বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। গত বছর বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পূর্ব সীমান্তে আর ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ ঘিরে নজরদারি জোরদার করছে বিএসএফ।

নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছে, বিএসএফ শিগগিরই নতুন করে ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। সূত্রগুলো জানায়, এখনো কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের মতো কয়েকটি চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি আছে। তবে খুব শিগগির তা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সীমান্তের এই দুই ফ্রন্টে বর্তমানে এই আধা সামরিক বাহিনীর ১৯৩টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। বিএসএফের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রয়েছে এক হাজারের বেশি সেনা। নতুন ১৬টি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১৭ হাজার সদস্য যুক্ত হবেন।

সূত্রগুলো জানায়, বিএসএফের রূপরেখা অনুযায়ী নতুন ব্যাটালিয়নগুলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারার মতো প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে এই বাহিনীকে সহায়তা করবে।

সূত্রগুলো আরও জানায়, বিএসএফের জন্য দুটি ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টারও (ফিল্ড কমান্ড ঘাঁটি) অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে জম্মু ও পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদারে জম্মুতে একটি ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হবে। বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও উন্নত করতে অপর ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টারটি হবে মিজোরামে।

জম্মু সীমান্তে বিএসএফের বর্তমানে চারটি সেক্টর রয়েছে। এগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। রাজৌরি, সুন্দরবনি, জম্মু এবং ইন্দ্রেশ্বর নগরে এসব সেক্টর অবস্থিত। অন্যদিকে আসামভিত্তিক মিজোরাম-কাছার ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টারের অধীনে সেক্টরগুলো রয়েছে শিলচর, আইজল এবং মণিপুরে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, নতুন এই ব্যাটালিয়নগুলোতে পুরুষ ও নারী সদস্য নিয়োগপ্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করবে বিএসএফ। এরপর শুরু হবে তাঁদের প্রশিক্ষণ। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে এই ইউনিটগুলো গঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিএসএফের সদস্যসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার। এই বাহিনী কয়েক বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২০ থেকে ২১টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব পাঠায়। অবশেষে সরকার ১৬টি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনে সম্মতি দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ