বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন’ বিএনপি এই কথা আর শুনতে চায় না। শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর ভুবন-মোহন পার্কে রাজশাহী মহানগর বিএনপি আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে ফরম বিতরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের মূল দাবি একটাই- জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বিচার ও সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যুক্তি আর চলবে না।

তিনি বলেন, সংস্কার ও বিচার চলমান প্রক্রিয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ করা থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের আচরণে গণতন্ত্র ও সংযমের ছাপ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব মামুন-অর-রশীদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল হুদা। এ সময় পুরোনো সদস্যদের নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ড.

মঈন খান।

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ মঈন খ ন ব এনপ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

পর্দায় আড়াল করা নীতি থেকে সরে আসুন

বিদেশি অতিথিরা এসে যাতে জনগণের দারিদ্র্য-মালিন্য দেখতে না পান, সে জন্য ‘রাজপথের ধারেকাছে দারিদ্র্যের যত চিহ্ন আছে’ সব আড়াল করার চল এ অঞ্চলে অনেক আগে থেকেই চালু আছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন সড়কে যাওয়ার পর সেখানে সেই ধরনের দৃশ্যপট দেখা গেছে। দেখা গেছে, উপদেষ্টা আসবেন বলে প্রধান সড়কের পাশের আবর্জনা পর্দা দিয়ে আড়াল করা হলো। আবর্জনা চোখের আড়ালে গেলেও দুর্গন্ধ রয়ে গেল। মানুষ নাক চেপে পার হলো। কিন্তু ছবিতে ধরা পড়ল ‘পরিচ্ছন্ন’ ভৈরব।

উপদেষ্টা নিশ্চিন্তে ফিরে গেলেন। পরের দিন পর্দা খুলে ফেলা হলো। একদিন পর সেখানে উঠল বেড়া। স্থায়ী আবরণে আবর্জনাকে চোখের আড়াল করা হলো। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিঠাট্টা হয়েছে। তবে ঘটনাটি নিছক হাস্যকর নয়; কারণ এটি বাংলাদেশের প্রশাসনিক সংস্কৃতির এক গভীর প্রতীকচিত্র।

এতে যে কারও মনে হতে পারে, আমরা এমন এক রাষ্ট্রে বাস করছি, যেখানে ‘পরিচ্ছন্নতা’ মানে ময়লা ও গন্ধ দূর করা নয়, বরং বিশেষ ও অভিজাত ব্যক্তিবিশেষের দৃষ্টিসুখ নিশ্চিত করা। এখানে উন্নয়নকে দেখা হয় প্রলেপের মতো যার গভীরে থাকে পচন, ওপরে থাকে উজ্জ্বল রংচং। এই নান্দনিক প্রতারণার উদ্দেশ্য নাগরিককে সন্তুষ্ট করা নয়; বরং সেই বিশেষ ব্যক্তির সন্তুষ্টি অর্জন।

ইউএনওর যুক্তি ছিল, ঘরে মেহমান এলে যেমন গৃহস্থ ঘর গুছিয়ে রাখে, তেমনি উপদেষ্টার সম্মানে আবর্জনাকে সাময়িক আড়াল করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, রাষ্ট্র নামক এই ঘরের মালিক উপদেষ্টা নন, জনগণ। আর উপদেষ্টা বা মন্ত্রীরা সেই ঘরের মেহমান নন। তাঁরা সেই ঘর গুছিয়ে রাখার কাজে নিয়োজিত বেতনভুক্ত পরিচারক।

সেই বিবেচনায় ভৈরবের আবর্জনার স্তূপ আড়াল না করে উল্টো উপদেষ্টাকে আরও ভালো করে তা দেখানো দরকার ছিল। এতে সরকার যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরা মাঠপর্যায়ের সত্যিকার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন এবং সে অনুযায়ী তাঁরা সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এতে দিন শেষে তা নাগরিকের জন্যই কল্যাণকর হয়।

স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনকে বুঝতে হবে, আবর্জনা আড়াল না করে শহরের জন্য স্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সময়মতো বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ জরুরি। এগুলো কোনো বিলাসিতা নয়, এগুলো নাগরিক জীবনের মৌলিক শর্ত। সেই আলোকে ভৈরব স্টেশন সড়কের বর্জ্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি জনগণের শক্তির উপর আস্থাশীল: ডা. জাহিদ
  • পিআর পদ্ধতি কি রাজনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হবে
  • নির্বাচনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে: ফখরুল 
  • আমাদের রাজনীতি হলো জনগণের জন্য : সাখাওয়াত 
  • আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক: মির্জা ফখরুল
  • পর্দায় আড়াল করা নীতি থেকে সরে আসুন
  • এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করবে না, প্রত্যাশা সিইসির
  • আমরা রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না: সিইসি
  • তালিকায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি: সিইসি
  • শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাচাদো কি আসলেই শান্তিকামী?