নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলকে প্রথম আন-অফিসিয়াল ওয়ানডেতে বড় ব্যধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বল হাতে শরিফুল ইসলামদের তোপের পর এনামুল হক বিজয়-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনদের ব্যাটে জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সোমবার (০৫ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪৭ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। তাড়া করতে নেমে ২৭.

২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

অঙ্কন ৪২ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন এনামুল হক। ২৪ রান আসে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে। ১৮ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কিউইদের হয়ে ২ উইকেট নেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক।

আরো পড়ুন:

আইপিএলে ইতিহাস গড়া ছয় বলে ছয় ছক্কা

বৃষ্টিভেজা নাটকীয় ম্যাচে রিশাদের দারুণ বোলিং

এর আগে শুরু থেকেই বাংলাদেশের দুই পেসার খালেদ আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম গতির ঝড় তোলেন। সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কিউই ব্যাটিং লাইনআপ। আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন তারা। তাতে পঞ্চাশের আগে ৫ উইকেট হারানো কিউইরা একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল।

তাদের মান রক্ষা করেন সাত নম্বরে নামা ডি ডিন ফক্সক্রফ্ট। তিনি সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন ৬৪ বলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ বলে ৪২ রান করেন ওপেনার রেইস মারিউ। দলের বাকি ৯ ব্যাটারের সবাই আউট হয়েছেন মোবাইল ডিজিটের ঘরে। এর মধ্যে টপ অর্ডারের ৪ জনসহ মোট ৫ ব্যাটার কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে। নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসে ব্যাটিং ধ্বস নামানোর দুই কারিগর খালেদ ও শরিফুল। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্পিনার তানভীর ইসলামও। খালেদ ও তানভীর সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। শরিফুল ও এবাদত হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন ইসল ম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।

বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।

সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ