১২০ কিমি পাল্লার ‘ফতেহ’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান, উত্তেজনা আরও বাড়ল
Published: 5th, May 2025 GMT
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সেনা অভিযানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আবারও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। আবদালির পর এবার ফতেহ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল দেশটি। সোমবার মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের এ পরীক্ষা চালানো হয়।
সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের পর থেকে পাকিস্তান সরকার ‘অপারেশন সিন্ধু’ মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। গত শনিবারই পাকিস্তান আবদালি নামে ৪৫০ কিমি পাল্লার একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়।
এরপরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, জাতির সুরক্ষায় তার দেশ পুরোপুরি তৈরি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফল পরীক্ষা ফের একবার প্রমাণ করল দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত হাতে রয়েছে।
পাকিস্তানের সেনা প্রচার মাধ্যম ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে সেনাবাহিনী যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, তা বোঝানো। এছাড়াও ক্ষেপণাস্ত্র আবদালির প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগত নৈপুণ্য ও নিখুঁত লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা পরীক্ষা করাও উদ্দেশ্য ছিল।
এদিকে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। পাশাপাশি ডাক ও পার্সেল সেবা বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে দেশটি।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই পর্যটক। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে আসছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।
এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) বরাবর সপ্তম দিনের মতো দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাবিনিময় হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী এই দুটি দেশই সীমিত পরিসরে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সূত্র: দ্য ডন
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ষ পণ স ত র র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ঝুঁকিতে ৯৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি প্রক্রিয়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। একটি ভুল এসএমএস ও ওয়েবসাইট বার্তার কারণে ‘বি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান শাখা) অন্তত ৯৫ জন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি তৃতীয় ধাপের শুরুতে বিজ্ঞানের ৪০১তম থেকে ৪৯৫তম মেধাক্রমধারীদের রবিবার (২২ জুন) উপস্থিত হয়ে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানায়। নিয়ম অনুযায়ী এসএমএস ও ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করে ভর্তির নির্দেশনাও দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই শুক্রবার (২০ জুন) রাতের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়—প্রকাশিত তালিকাটি ভুলবশত দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে মানবিক শাখার ৫৮১ থেকে ৬৫০তম মেধাক্রমধারীদের ভর্তির জন্য ডাকা হয়।
এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভর্তির অপেক্ষায় থাকা বহু শিক্ষার্থী। হতাশা, ক্ষোভ এবং আতঙ্কে তাদের অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আরো পড়ুন:
৮ ছাত্র সংগঠনের কার্যালয় মধুর ক্যান্টিন
টাঙ্গাইলে ৩ মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ, উদ্বিগ্ন পরিবার
যশোর থেকে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সাজিদুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “আমি বাবার সঙ্গে ৬ হাজার টাকা খরচ করে শাবিপ্রবিতে ভর্তি হতে যাচ্ছিলাম। এখন জানানো হলো, ভুলবশত মেসেজ পাঠানো হয়েছে! আমরা কি খেলনা?”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “এই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিলাম। পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি ছিল। বাবা আত্মীয়দের জানিয়ে দিয়েছেন। এখন কী বলবো সবার কাছে?”
কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, শাবিপ্রবির মেসেজ পেয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিশ্চিত আসন ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের প্রশ্ন— এখন তারা কোথায় যাবেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকের মতে, একটি জাতীয় পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয় এমন দায়িত্বহীন আচরণ করতে পারে না। এমন ভুল একটি শিক্ষার্থীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন গাফিলতিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ‘চরম অবহেলা’ আখ্যা দিয়ে এর দায়ভার গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ভবিষ্যতে যেন এমন ভুল আর না ঘটে, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান ফারুক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “মানবিকের পরিবর্তে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মেসেজ চলে গেছে। আমরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে ভর্তি শেষে বসব।”
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “ভুলটি অনিচ্ছাকৃত। তবে যারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য আমরা ‘চতুর্থ কল’-এ অগ্রাধিকার দেওয়ার চিন্তা করছি। গুচ্ছ ভর্তি শেষে খালি আসনগুলোতে এই শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী