এনসিপির সঙ্গে আগামীকাল বর্ধিত আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন
Published: 5th, May 2025 GMT
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এনসিপির সঙ্গে কমিশনের ‘বর্ধিত আলোচনা’ শুরু হবে। আজ সোমবার ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে আলাদাভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে গত ১৯ এপ্রিল এনসিপির সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে ওই দিন সব সুপারিশ নিয়ে দলটির সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি। সেদিন মূলত সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো আলোচনা হয়েছিল। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে আগামীকাল দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত মতামত নেওয়ার পর গত ২০ মার্চ দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা শুরু করে কমিশন। ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। এই দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করা হচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে তিন দিন আলোচনা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ ২৫টি দল ও জোটের সঙ্গে কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াতে ইসলামী আজ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়। এর আগে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ।
আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এ আলোচনায় তাড়াহুড়োর চেয়ে ঐকমত্যকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘কিছু আলোচনা সমাপ্ত হয়নি, সেটা আগামী সপ্তাহের আলোচনায় পুনরায় তোলা হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আলোচনার কোনো অংশকে পুনরুক্তি না করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য।’
আজকের আলোচনা থেকে বড় অগ্রগতি অর্জনের আশা প্রকাশ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কাজেই আমাদের সময়ের স্বল্পতাও রয়েছে। বিষয়টিও রাজনৈতিক দলগুলোর খেয়াল রাখতে হবে।’
আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, সিপিবি, এবি পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে অসমাপ্ত আলোচনা শেষ করা, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐকমত্য সদস্য আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।