খুলনা বিভাগের ৩২ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা
Published: 8th, August 2025 GMT
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে খুলনা বিভাগের ৩৬টির মধ্যে ৩২টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এসময় দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে দল এমন তথ্যও জানানো হয়।
প্রার্থী ঘোষণার আগে বক্তৃতায় দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মো.
আরো পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল: ইসি সানাউল্লাহ
‘সরকারের দ্বিতীয় পর্ব শুরু, প্রধান কাজ ভালো নির্বাচন’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, “দেশের সব বিভাগেই প্রার্থী ঘোষণা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের প্রার্থী ঘোষণা হলো। তবে, ইসলামী জোট হলে সব দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কোন আসনে কোন দলের প্রার্থী থাকবে সে সিদ্ধান্ত হবে।”
খেলাফত মজলিস মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে- খুলনা-১ আসনে মাওলানা এমদাদুল হক, খুলনা-২ আসনে অ্যাডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম, খুলনা-৩ আসনে এফ. এম. হারুন-অর-রশীদ, খুলনা-৪ আসনে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, খুলনা-৫ আসনে মুফতি আ. জব্বার আজমী, খুলনা-৬ আসনে মাওলানা সোলাইমান হোসেন নোমানী।
বাগেরহাট-১ আসনে মাওলানা খায়রুল ইসলাম হেলালী, বাগেরহাট-২ আসনে শায়খুল হাদিস আমিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, বাগেরহাট-৩ আসনে মুফতি ফরিদ আহমদ হেলালী, বাগেরহাট-৪ আসনে অধ্যাপক ইয়াকুব আলী তালুকদার।
সাতক্ষীরার ১, ২ ও ৪ আসনে কোনো প্রর্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে, সাতক্ষীরা-৩ আসনে মুফতি কামাল উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
মেহেরপুর-১ আসনে অধ্যাপক আব্দুল হান্নান এবং মেহেরপুর-২ আসনে হোসাইন বাদশা।
কুষ্টিয়া-১ আসনে মাওলানা শরীফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-২ আসনে মুফতি আবদুল হামিদ, কুষ্টিয়া-৩ আসনে অধ্যাপক সিরাজুল হক, কুষ্টিয়া-৪ আসনে মাওলানা আলী আশরাফ।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মো. মোখলেছুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী।
ঝিনাইদহ-১ আসনে মাওলানা আবু তালেব, ঝিনাইদহ-২ আসনে অধ্যাপক ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে মাওলানা ওয়াজিউল্লাহ। ঝিনাইদহ-৩ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
যশোর-১ আসনে মাওলানা মাহাবুব উল্লাহ, যশোর-২ আসনে মাওলানা কামাল হোসাইন, যশোর-৩ আসনে মাওলানা হাফেজ আবদুল্লাহ, যশোর-৪ আসনে মাওলানা মনিরুজজামান, যশোর-৫ আসনে হাফেজ মাওলানা বিল্লাল হোসেন, যশোর-৬ আসনে মাওলানা শফিউল্লাহ।
মাগুরা-১ আসনে ড. মাওলানা ফয়জুল ইসলাম, মাগুরা-২ আসনে ডা. শামসুজজামান।
নড়াইল-১ আসনে হাফেজ মাওলানা জিন্নাত আলী এবং নড়াইল-২ আসনে মাওলানা আবদুল হান্নান সরদারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বিভাগের অন্য চারটি আসনের পরবর্তীতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত মজলিসের খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মাস্টার আব্দুল মজিদ, ফরিদপুর জোন পরিচালক মাওলানা নাসির উদ্দিন, খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক, খুলনা মহানগর সভাপতি এফ.এম. হারুন অর রশীদ, যশোর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, বাগেরহাট জেলা সভাপতি মুফতি আমিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, নড়াইল জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হান্নান সরদার।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গ রহ ট ল ইসল ম ঝ ন ইদহ উল ল হ হ স ইন দল র স ৪ আসন ১ আসন ২ আসন ৩ আসন
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয় নির্দেশনা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও বদ্ধপরিকর : রাজিব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে কুতুবপুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ করে সাধারণ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলীগঞ্জ থেকে শুরু করে মধ্য আলীগঞ্জ দিয়ে ফতুল্লা রেল স্টেশন হয়ে বিভিন্ন বাজার, পাড়া-মহল্লা ও জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় তিনি জনগণের কাছে বিএনপির উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দলের ঘোষিত রূপরেখা তুলে ধরেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
এসময়ে বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, হ্যাঁ না এর সম্পূর্ণ অযৌক্তিক অগণতান্ত্রিক ভোট কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। হ্যাঁ -না ভোট দিয়ে বিএনপিকে একটি কর্ণারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরুদ্ধে।
বিএনপি এদেশে মানুষের কথা বলে গণতন্ত্রের কথা বলে। বাংলাদেশ একটি উদ্বার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক সেটাই চায় বিএনপি। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতান্তের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুতরাং গণতন্ত্রের কথা বলে বিএনপির সাথে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল পেড়ে উঠা সম্ভব না।
বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা তা পূরণের জন্য বিএনপির কাজ করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অতীতেও তো যেমন ছিল ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের চারটি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আমরা তাদেরকে সুস্বাগতম জানাই। আমাদের দলে দর্শনই হচ্ছে ব্যক্তিত্বে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সে আস্থা রয়েছে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান সাহেবের প্রতি। উনার প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্তা রয়েছে উনি যেই সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে নিবেন।
উনি দল কিনবা ব্যক্তির স্বার্থ চিন্তা করে নিবে না এই বিশ্বাস আমাদের পুরোপুরি আছে। অতএব উনি যার হাতে ধানের শীষ দিবে আমরা অন্ধের মতন তার পক্ষে কাজ করব। আমার কাছে ব্যক্তি কিংবা প্রার্থী সেটা বিষয় না আমার তাকে দিয়েছে আমি অন্ধের মতন তার পক্ষে কাজ করব।
শুধু আমি না বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে একইভাবে সকল নেতাকর্মী যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের নেতাকর্মী তারা সবাই তারেক রহমানের নেতৃত্বের উপর আস্থাশীল তারা অন্ধের মতো দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। এখানে দ্বিতীয় কোন কথা নেই আর কথার কোন সুযোগও নাই।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে যদি দলীয় প্রার্থী না দেওয়া হয় তাহলে দলগতভাবে জোটভুক্ত হয়ে যে প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষে কাজ করব। এবং দলীয় যে নির্দেশনা দিবে তা আমরা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও বদ্ধপরিকর।
আর নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে যেটা আমার দল ও তারেক রহমান দিবে সেটাই আমার রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার এবং দলের প্রতিটি আমাদের দায়িত্ব সেটাই কাজ করতে হবে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা, ফতুল্লা, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।