বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা সিরিজ এখন বেশ রোমাঞ্চ ছড়ায়। দুই দলের মুখোমুখি লড়াই দেখা যাবে আবারও।

লঙ্কানদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী জুনে এক মাসের বেশি সময়ের জন্য দেশটি সফরে যাবেন নাজমুল হোসেন–লিটন দাসরা। ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কায় তিন সংস্করণের সিরিজই খেলবে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার চার শহরের পাঁচ ভেন্যুতে হবে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি–টোয়েন্টি। আগামী ৩ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে ফেরার ১০ দিন পর শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওয়ানা দেবে বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর ২০২৫

সফর শুরু হবে টেস্ট দিয়ে। ১৭ জুন গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু প্রথম টেস্ট। ২৫ জুন দ্বিতীয় টেস্ট শুরু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্রে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে এই সিরিজ দিয়ে।

আরও পড়ুনচূড়ান্ত হলো ভারতের বাংলাদেশ সফরের সূচি১৫ এপ্রিল ২০২৫

কলম্বোরই আরেক ভেন্যু প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ওয়ানডে ২ ও ৫ জুলাই। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শেষ ওয়ানডে ৮ জুলাই। সব ম্যাচ হবে দিবা–রাত্রির।

১০ ও ১৩ জুলাই প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হবে ডাম্বুলায়। এরপর দুই দল কলম্বোয় ফিরে ১৬ জুলাই প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে খেলবে তৃতীয় টি–টোয়েন্টি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ লম্বা সফর শেষ হবে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় তিন সংস্করণেরই সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।

বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।

সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ