দক্ষিণ কোরিয়ায় গ্রীষ্মকালকে বলা হয় গানের মৌসুম। বছরজুড়ে গান প্রকাশিত হলেও ব্যান্ডগুলো গ্রীষ্মের জুন ও আগস্ট—এই দুটি মাসের জন্য মুখিয়ে থাকে। ফলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গান প্রকাশ করাটা অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এবার বসন্ত ফুরানোর আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ গান প্রকাশের ধুম পড়ে গেছে।
গ্রীষ্ম নামতে এখনো ঢের বাকি। অথচ শীর্ষ কে–পপ ব্যান্ড ইয়োজাইডেল থেকে নবাগত ব্যান্ড ট্রিপল এস—মে মাসে গান প্রকাশের জন্য ব্যান্ডগুলো রীতিমতো হুড়োহুড়ি করছে।
প্রচলিত নিয়ম ভেঙে গ্রীষ্মের মাসখানেক আগে থেকেই কেন গান প্রকাশের হিড়িক পড়েছে? বিষয়টি নিয়ে কোরিয়া টাইমস জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় গান প্রকাশের ধারায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। ছুটির আগে গানের জনপ্রিয়তা তৈরির জন্য আগেভাগেই গান প্রকাশ করা হচ্ছে।
এক বিশ্লেষক বলেন, ‘এখন কোনো গান একবার শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলে দীর্ঘ সময় ধরে সেটি চার্টে থাকে। ফলে বসন্তের শেষ ভাগে বা গ্রীষ্মের শুরুতে গান প্রকাশ করলে সারা বছর জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যেতে পারে।’
গান প্রকাশ এগিয়ে আনার আরেক কারণ হলো লোল্লাপালোজা ও সামার সনিক। কোরিয়ান অনেক সংগীতশিল্পী এ দুটি সংগীত উৎসবে অংশ নেবেন। জুলাই থেকে আগস্টের এসব উৎসবকে মাথায় রেখে অনেকে আগেভাগেই অ্যালবাম প্রকাশ করছেন। ৩ জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও মাথায় রয়েছে। নির্বাচনের সময় অ্যালবামের জনপ্রিয়তা তলানিতে নামে। সব বিবেচনা করে মে মাসকেই শ্রেয় মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২৪ সদস্যের গ্রুপ ট্রিপল এস দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম অ্যাসেম্বল টোয়েন্টি ফাইভ প্রকাশ করবে ১২ মে। অ্যালবামে ব্যান্ডের সব সদস্যই থাকছেন। গার্ল গ্রুপ মিউভ প্রকাশ করছে ইপি মাই আইজ ওপেন ভাইড।
অ্যালবামের ‘হ্যান্ডস আপ’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
শীর্ষ ব্যান্ড ইয়োজাইডেলও মে মাসের মাঝামাঝির দিকে মিনি অ্যালবাম নিয়ে ফিরছে। তবে অ্যালবামটি নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি ব্যান্ডটি। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তাদের সর্বশেষ গান এসেছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ আরও একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের সীমান্তের চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম মো. রিয়াজ (২১)। ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকাল ছয়টায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হলো। নিহত শ্রমিকের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া গ্রামে।
১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চরপাড়ার গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হন। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চারজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গুদামের মালিক মাহবুবুল আলম, শ্রমিক মো. ইদ্রিস, মো. ইউসুফ, মোহাম্মদ ছালেহ ও হারুণ মারা যান। সর্বশেষ মৃত্যু হলো মো. রিয়াজের।