প্রথমে ‘তাকদীর’, এরপর ‘কারাগার’। এই দুই সিরিজ দিয়ে দেশের ওটিটি জগতে রীতিমত আলোড়ন সৃস্টি করেছিলেন নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। প্রায় ৩ বছর পর তৃতীয় সিরিজ নিয়ে হাজির হচ্ছেন এই নির্মাতা। নাম ‘গুলমোহর’। এযাত্রায় তিনি পেয়েছেন ভারতের আলোচিত অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়সহ দেশের দুর্দান্ত শিল্পীদের।

‘গুলমোহর’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন টালিউড–বলিউডের এ অভিনেতা। গল্প শুনেই রাজি হয়ে যান ‘গুলমোহর’ সিরিজে কাজ করতে। এর সঙ্গে বাংলাদেশে শুটিং করার ইচ্ছাটা মিলে যাওয়ায় দর্শকরা প্রথমবারের মতো দেশের কোনা কনটেন্টে দেখতে যাচ্ছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে।

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা একটা পরিবারের গল্প। এতে অনেককিছু আছে, তবে আমার চরিত্রে আছে ইমোশন। এমন কাজ খুব কমই হচ্ছে আজকাল। এর সঙ্গে আরেকটা বিষয় আমাকে খুব আগ্রহী করেছে, সেটা হলো, বাংলাদেশে শুটিং। কাজের আগেই আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, শুটিং কোথায় হবে? ওরা বললো বাংলাদেশে। কাজ করতে রাজি হয় গেলাম।’

চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘গুলমোহর’ নির্মাণ করেছেন সৈয়দ আহমেদ শাওকী। তার নির্দেশনায় প্রথমবারের মতো কাজ করলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

৫ মে রাতে প্রকাশ পেয়েছে ’গুলমোহর’ সিরিজের পোস্টার। যেখানে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্র সম্পর্কে। এতে অভিনয় করেছেন সারা জাকের, ইন্তেখাব দিনার, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, সুষমা সরকার, মীর নওফেল আশরাফী জিসান, সারিকা সাবাহ, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, মোস্তফা মনোয়ারসহ অনেকে।

মিস্ট্রি–ড্রামা ঘরানার সিরিজটির পোস্টার ক্যাপশন আরও একটু রহস্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, ‘ক্ষমতার লোভে কেটে গেছে সম্পর্কের সুর!’ অবশ্য নির্মাতা আগেই জানিয়েছেন এটি একটি পরিবারের গল্প। তাহলে কী এ পরিবারকে ঘিরেই মিস্ট্রি আর ড্রামার আনাগোনা?

‘গুলমোহর’–এর সঙ্গে ক্ষমতা–লোভ, বিশ্বাস–অবিশ্বাস, সম্পর্ক, পরম্পরা–কর্মফলের মতো বিষয়গুলোকে জড়িয়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। নির্মাতার মুন্সিয়ানায় এগুলো কীভাবে আসবে দর্শকদের সামনে।

অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার বলছেন, “গুলমোহর একটি পরিবারের মধ্যেকার বিশ্বাস–অবিশ্বাস, রহস্যে ঘেরা ষড়যন্ত্রের গল্প। আর শাওকী সেই গল্পকে এমনভাবে তুলে ধরেছে যে তাকে ম্যাজিশিয়ান বলেতই হয়।”

অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরানের মতে, ‘গুলমোহর’ হলো পরম্পরা অথবা কর্মের বয়ান, যার শেষে অবধারিতভাবে কর্মফল রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

অক্সফোর্ড–কেমব্রিজ নেই সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩২ বছরে প্রথম ঘটনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। ৩২ বছরের মধ্য এ ঘটনার প্রথমবারের মতো ঘটল যে কোনো র‍্যাংকিংয়ে জায়গা পেল না অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ এ প্রথম তিনে জায়গা পায়নি এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য গার্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬-এ অক্সফোর্ড প্রথম ও কেমব্রিজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ অনুযায়ী, টানা দ্বিতীয় বছরের মতো লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) তালিকার শীর্ষেই আছে। এরপরে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাজ্যর গণমাধ্যমে ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছে, যা গুড ইউনিভার্সিটি গাইডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান দুটিকেই সেরা তিনের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। ৩২ বছর ধরে করা এই গুড ইউনিভার্সিটি গাউড প্রথমবার এমনটা হলো যে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ প্রথম তিনে নেই।

গত বছর অক্সফোর্ড ছিল তৃতীয় এবং কেমব্রিজ ছিল চতুর্থ। গত বছরই লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস চতুর্থ স্থান প্রথম স্থানে চলে এসেছিল। গত বছর সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ছিল দ্বিতীয়; যার ফলে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ দুটোই একধাপ নিচে নেমে গিয়েছিল।

পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয়তে উঠে আসা ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এবার ‘ইউনিভার্সিটি অব দ্য ইয়ার ২০২৬’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৭ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে গ্রহাণুর আঘাতে কী ঘটেছিল পৃথিবীতে
  • ইবিতে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু বৈদ্যুতিক শাটলের 
  • অক্সফোর্ড–কেমব্রিজ নেই সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩২ বছরে প্রথম ঘটনা