‘যুগান্তকারী’ বাণিজ্য চুক্তিতে রাজি যুক্তরাজ্য ও ভারত
Published: 6th, May 2025 GMT
প্রায় তিন বছর ধরে আলাপ-আলোচনার পর যুক্তরাজ্য ও ভারত ‘যুগান্তকারী’ একটি বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্য ভারতে মদ, গাড়িসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পোশাক, জুতাসহ বেশকিছু পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে ভারতও করছাড় পাবে।
তবে এই চুক্তির ফলে অভিবাসন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের কর্মকর্তারা।
চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল গত সপ্তাহে লন্ডনে বৈঠক করেন।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বলেছেন যে, চুক্তিটি কার্যকর হলে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ‘ব্যাপক’ সুবিধা পাবে।
গত বছর যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মধ্যে প্রায় ৪১ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো বাণিজ্য হয়েছিল। চলতি বছর এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
তবে চুক্তি কার্যকর হলে ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে অতিরিক্ত ২৫ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন বাণিজ্য করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার। সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর জ য
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা
যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী
তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর।
সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে।
ঢাকা/রিটন/রফিক