প্রায় তিন বছর ধরে আলাপ-আলোচনার পর যুক্তরাজ্য ও ভারত ‘যুগান্তকারী’ একটি বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্য ভারতে মদ, গাড়িসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পোশাক, জুতাসহ বেশকিছু পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে ভারতও করছাড় পাবে।

তবে এই চুক্তির ফলে অভিবাসন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের কর্মকর্তারা।

চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল গত সপ্তাহে লন্ডনে বৈঠক করেন।

যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বলেছেন যে, চুক্তিটি কার্যকর হলে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ‘ব্যাপক’ সুবিধা পাবে।

গত বছর যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মধ্যে প্রায় ৪১ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো বাণিজ্য হয়েছিল। চলতি বছর এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।

তবে চুক্তি কার্যকর হলে ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে অতিরিক্ত ২৫ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন বাণিজ্য করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকার। সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর জ য

এছাড়াও পড়ুন:

সাদাপাথরে লুটপাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ স্থগিত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। দলীয় বিজ্ঞপ্তিতে সাদাপাথরে লুটপাটের বিষয়টি উল্লেখ করা না হলেও চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই নেতার পদ স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিএনপির নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর স্থলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আবদুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।’

বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে গত ১৭ মার্চ প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘দখলসূত্রে সরকারি জমির মালিক বিএনপি নেতা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৮ মার্চ সরকারি জমি উদ্ধারে অভিযানে নামে স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় প্রায় ৭০ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। এসব স্থানে থাকা ছোট-বড় ১০০টি পাথর ভাঙার (স্টোন ক্রাশার) যন্ত্র উচ্ছেদের পাশাপাশি প্রায় ৫০টি টিনশেড ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সরকারি জমি দখলের ঘটনায় গত ১৯ মার্চ সাহাব উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা বিএনপির একটি সূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারি জমি দখল ও লুটপাটের ঘটনায় বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন ও তাঁর স্বজনেরা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা সভাপতির নেতৃত্বে এমন অপরাধ সংঘটিত হবে, তা কখনো ভাবা যায় না। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও নেতৃত্বের চরম অবমাননা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই নেতার পদ স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ বিএনপিতে থাকতে পারবে না। সেই সঙ্গে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ যাতে অপকর্ম-লুটপাট করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসনকে আগে থেকেই জানানো হয়েছে। প্রশাসন যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, সেটি আমরা জানিয়েছিলাম। স্থানীয়ভাবেও সাদাপাথর লুটপাটের বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ