হত্যা মামলায় এনসিপি নেতা কারাগারে, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, মশালমিছিল
Published: 6th, May 2025 GMT
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের একটি মৎস্যখামারে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাসহ তিনজনকে আটকের পর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা থেকে সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এই বিক্ষোভ হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারাগারে যাওয়া এনসিপি নেতার নাম রাইয়ান কাশেম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়ক ছিলেন। তাঁর বাবা জাহাঙ্গীর কাশেম আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। অন্য দুজন হলেন জাহাঙ্গীর কাশেমের মালিকানাধীন খুরুশকুলের আল্লাহওয়ালা হ্যাচারির নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ হোসাইন ও মোহাম্মদ মিজান।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার মধ্যরাতে খুরুশকুল পুরোনো সেতুসংলগ্ন আল্লাহওয়ালা হ্যাচারিতে আলী আবকর নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোমবার রাতে রাইয়ান কাশেম, মোহাম্মদ হোসাইন ও মোহাম্মদ মিজানকে আটক করে। আজ দুপুরে তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আখতার জাবেদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর আজ রাত সোয়া ১০টায় আলী আকবরের স্ত্রী বাদী হয়ে রাইয়ানসহ কারাগারে পাঠানো তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বলছে, ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ত নজনক এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় কথিত বিএনপি নেতার হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৩
ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কথিত বিএনপি নেতার হামলায় আহত হয়েছে জাগো নিউজের প্রতিনিধি, ক্যামেরা ম্যানসহ ৩ জন। ওই সময়ে তারা ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করেছে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী বাহিনী তিনজনকে আটকে বেধড়ক মারধর করেছে।
তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর)বিকেলে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকাতে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ হামলাকারী কথিত বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে। সে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।
জাগো নিউজের সাংবাদিক মো. আকাশ জানান, গিরিধারা বউবাজার এলাকাতে এক নারীর অভিযোগ ছিল তাদের জমি দখল করে রেখেছিল বিএনপির নামধারী নেতা শাহাদাত ও তার ছেলে রাব্বি। ওই ঘটনায় নারী ফতুল্লা থানায় একাধিকবার জিডি করেছেন। বিষয়টি জানতে বুধবার বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে যাই।
সেখানে গিয়ে নারীর সঙ্গে কথার খবর পেয়ে শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করে। আমার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
এক পর্যায়ে টেনে হেচড়ে একটি রুমে আটকে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলে। পরে রুমে আটকে মোবাইল ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করেছে। তাদের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে।