ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ সকালেই বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেন প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে প্রধান সূচক ৭০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সূচক পড়ে যায় ৫০ পয়েন্টের বেশি। পতনের ধারা অব্যাহত আছে।

আজ দিনের প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ঢাকার শেয়ার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ৭০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ; ডিএসইএসের পতন হয়েছে ১৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ; ডিএস ৩০ সূচকের পতন হয়েছে ২০ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।

আজ সকালে লেনদেনের শীর্ষে আছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড; দ্বিতীয় স্থানে আছে এনআরবি ব্যাংক, তৃতীয় স্থানে আছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। আজ সকালে প্রথম কয়েক মিনিটে দাম বেড়েছে মাত্র ৯টি শেয়ারের; দাম কমেছে ৩৩৪টি শেয়ারের; অপরিবর্তিত আছে ১৪টি শেয়ারের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রয়োজন ছাত্র সংসদ নির্বাচন

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু শ্রেণিপাঠে নয়, বরং রাজনীতিতেও অবদান রাখছেন। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফলে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্যান্ট ডে’ ঘোষণা করেছে।

ঢাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে সবদিকেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হলো—যেসব শিক্ষার্থীরা ভেঙে পড়া একটি বিপ্লবকে ফের ঘুরিয়ে এনেছিলেন, তারা ছিলেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর সেই—প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা কেবল সময়ের দাবি নয়, বরং শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে।

একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন, তিনি শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জনের জন্য আসেন না—তাঁর মধ্যে নেতৃত্ব, সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার প্রয়োজন হয়। এসব গুণের বিকাশে একটি সক্রিয় ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ভূমিকা অপরিসীম।

আরো পড়ুন:

খুবিতে শহীদ মীর মুগ্ধ আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু

জবিতে বাস সংকট চরমে, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

ছাত্র সংসদ রাজনৈতিকভাবে সচেতন নাগরিক তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি কোনো দলীয় রাজনীতির স্থান নয়, বরং নীতি, ন্যায় ও অধিকার আদায়ের একটি গণতান্ত্রিক অনুশীলন মঞ্চ। শিক্ষার্থীরা এখানে শেখেন কীভাবে নিজস্ব মতামত গঠন করতে হয়, কীভাবে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় এবং কীভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সমষ্টিগতভাবে সমস্যার সমাধানে পৌঁছানো যায়।

এছাড়া, ছাত্র সংসদ সামাজিক সংহতির গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন বিভাগ ও পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমঝোতা, সহযোগিতা ও সৌহার্দ্য গড়ে তুলতে এটি ভূমিকা রাখে। সহশিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা কিংবা সমাজসেবামূলক কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা জাগ্রত হয়।

সবচেয়ে বড় কথা, একটি কার্যকর ছাত্র সংসদ গণতান্ত্রিক চেতনার বাস্তব অনুশীলনের সুযোগ দেয়। নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচন, মতবিনিময়, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা শেখেন—গণতন্ত্র মানে কেবল ভোট নয়, বরং একটি মানসিকতা ও মূল্যবোধ। যা মানুষকে সঠিক পথে চালিত করে।

অতএব, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা কেবল ছাত্রস্বার্থ নয়, একটি শিক্ষিত, সচেতন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক প্রজন্ম গঠনের জন্যও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি শিক্ষার পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করার এক শক্তিশালী মাধ্যম।

(লেখক: শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম)

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ