ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় পতন
Published: 7th, May 2025 GMT
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ সকালেই বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেন প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে প্রধান সূচক ৭০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সূচক পড়ে যায় ৫০ পয়েন্টের বেশি। পতনের ধারা অব্যাহত আছে।
আজ দিনের প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ঢাকার শেয়ার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ৭০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ; ডিএসইএসের পতন হয়েছে ১৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ; ডিএস ৩০ সূচকের পতন হয়েছে ২০ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
আজ সকালে লেনদেনের শীর্ষে আছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড; দ্বিতীয় স্থানে আছে এনআরবি ব্যাংক, তৃতীয় স্থানে আছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। আজ সকালে প্রথম কয়েক মিনিটে দাম বেড়েছে মাত্র ৯টি শেয়ারের; দাম কমেছে ৩৩৪টি শেয়ারের; অপরিবর্তিত আছে ১৪টি শেয়ারের।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২১ দফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
২১ দফা দাবিতে রংপুর কারমাইকেল কলেজে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টায় কয়েকশ শিক্ষার্থী নগরীর লালবাগ এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন।
রোববার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এরপর তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সড়কে অবস্থান নেন। এতে করে রাস্তার দু’পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাতায়াতকারীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা লালবাগ রেলক্রসিংয়ে যান। আন্দোলনকারীদের সরিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এরপর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রমিজ আলম, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমেদসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেন।
শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন, আরমিলা জাহান ও মনীষা ইসলাম জানান, উত্তরের অক্সফোর্ডখ্যাত কারমাইকেল কলেজ শতবর্ষী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা। রংপুরের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলেও এখানে আধুনিক ক্লাস রুম নেই, পরিবহন ব্যবস্থা নেই, বিশাল কলেজের নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশ বক্স নেই। এমন নানা অপ্রাপ্তির মাঝে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের ২১ দফা দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ফ্যান, বেঞ্চ, পর্যাপ্ত আলো, হোয়াইট বোর্ড নিশ্চিত করা, প্রতি বিভাগে প্রজেক্টরের মধ্যে ক্লাস পরিচালনার ব্যবস্থা করা, মাসিক পরীক্ষার আয়োজন করা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, প্রতি ক্লাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে যোগ্য ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচন করা ও শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ওয়ার্কের ব্যবস্থা করা, কলেজ ম্যাগাজিন প্রকাশ ও শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, কলেজে নতুন বিভাগ সংযোজন করা, শতাব্দী ভবনে ক্লাস শুরু করা ও ক্লাস রুমের সংখ্যা বাড়ান, শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড নিশ্চিত করা, পুলিশ বক্স নির্মাণ, যাতায়াতের জন্য বাস কেনা, অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণকাজ শেষ করা, ছাত্র ও ছাত্রী বিশ্রামাগার মেরামত ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, ওসমানী হল সংস্কার করে দ্রুত সিট বরাদ্দ, সিএম হলের পরিবর্তে নতুন হল নির্মাণ, হেল্পলাইন নম্বর চালু, আইসিটি ভবনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের সুবিধা নিশ্চিত করা, আর্থিক কার্যক্রমে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু, কলেজের দখল হওয়া জায়গা উদ্ধার, কলেজের প্রধান ফটক নির্মাণ, লাইব্রেরি ও সেমিনারে পর্যাপ্ত বই সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কলেজে কম্পিউটার, ফটোকপি, অফিস স্টেশনারি দোকানের ব্যবস্থা করা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রমিজ আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবি পূরণে কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার দপ্তরসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগে তালা লাগিয়েছিল। পরে প্রশাসন ও পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টার মাধ্যমে দাবি পূরণের ঘোষণা না এলে তারা কলেজে আবারও শাটডাউন কর্মসূচি পালন করবে।