প্রিয় ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি বৃহস্পতিবার। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি আবার ঘরের মাঠে। টটেনহামের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতে বোডো/গ্লিমটকে হাতছানি দিচ্ছে প্রথম নরওয়েজীয় ক্লাব হিসেবে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ফাইনাল। কাজটা কঠিন। প্রথম লেগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহামের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে নরওয়েজীয় ক্লাবটি। তবু স্বপ্ন দেখতে দোষ কী। নামের ভারে টটেনহাম এগিয়ে থাকলেও ফুটবল মাঠে তো কত কিছুই হতে পারে।

এমন ম্যাচটি বোডো/গ্লিমটের যে কোনো সমর্থক মাঠে বসেই দেখতে চাইবেন। কিন্তু সমস্যা হলো বোডো/গ্লিমটের নিবন্ধিত সমর্থকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার হলেও সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট বরাদ্দ মাত্র ৪৮০টি। তাই একেকটি টিকিট হয়ে উঠেছে অমূল্য।

সেই অমূল্য টিকিট না পেয়ে একটু অন্যরকম পথেই হাঁটলেন টোরবিয়র্ন এইডা নামের এক বোডো সমর্থক। পাঁচ কিলোগ্রাম শুঁটকি মাছের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত ‘কালোবাজার’ থেকে টিকিট কিনেছেন এইডা।

শুঁটকির নাম শুনে নাক ছিটকাবেন না। একটি মাছের খামারের প্রোডাকশন ম্যানেজার এইডা বোকনাফিস্ক নামে পরিচিত যে শুঁটকির বিনিময়ে টিকিট পেয়েছেন সেটি নরওয়ের অন্যতম সুস্বাদু খাবার হিসেবেই পরিচিত। আর দামও ফেলনা নয়। পাঁচ কেজি শুকনো সেই মাছের দাম আড়াই হাজার নরওয়েজিয়ান ক্রাউন বা ২৪৩ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি।

প্রথম লেগে টটেনহামের কাছে ৩–১ গোলে হেরেছে বোডো/গ্লিমট.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মার্টিনেল্লির জাদুকরী গোলে শেষ মুহূর্তে সিটিকে রুখল আর্সেনাল

গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি যেন এমিরেটসের নায়ক হয়ে উঠলেন। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বদলি হিসেবে নেমে গোল উপহার দিলেন তিনি। রবিবার রাতে স্টপেজ টাইমে তার দারুণ লব শটই আর্সেনালকে ১-১ গোলের ড্রয়ে রক্ষা করল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হারের হাত থেকে।

খেলার নবম মিনিটেই এমিরেটসে নীরবতা নামিয়ে আনেন আরলিং হালান্ড। রক্ষণভাগ ভেঙে নিজের স্বভাবসুলভ নির্ভুলতায় গোল করে সিটিকে এগিয়ে নেন তিনি। রেইন্ডার্সের সুন্দর পাস থেকে বল পেয়ে মাত্র দুই টাচে গোলরক্ষক রায়াকে হারান নরওয়েজিয়ান তারকা। এ নিয়ে সিটি ও নরওয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে আট ম্যাচে এটি তার ১৩তম গোল। আর প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে সপ্তম ম্যাচে পঞ্চম গোল।

আরো পড়ুন:

হালান্ডের রেকর্ড ভাঙা রাতে নাপোলিকে হারাল ম্যানসিটি

২১ বছর পর এমন বাজে পরিস্থিতিতে ম্যানসিটি

সিটির এই ব্রেকথ্রু গোলের পর এমিরেটসে যেন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমার্ধে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ হারায় আর্সেনাল। মাঝেমধ্যে ননির শট কিংবা কয়েকটি আক্রমণ চেষ্টা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু তৈরি করতে পারেনি আর্তেতার দল। প্রথম ৪৫ মিনিটে সিটির রক্ষণ আর দোনারুমার দৃঢ়তায় খেই হারিয়ে যায় স্বাগতিকদের।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই মাঠে নামেন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা বুকায়ো সাকা আর এবে এরেজি। তাদের উপস্থিতিতেই বদলে যায় আর্সেনালের চেহারা। জুবিমেন্দির শট অল্পের জন্য বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। এরপর এজের তীক্ষ্ণ ভলিও দোনারুমাকে পরীক্ষা নেয়।

তবে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল সিটিও। ডোকুর দুর্দান্ত পাস থেকে একান্তর গোলের সামনে দাঁড়িয়েও হালান্ড এবার রায়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন। কয়েক মিনিট পর ডায়াসের ঠেকানো ক্রসও বিপদ এড়ায় অতিথিদের জন্য।

শেষ দশ মিনিটে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর্সেনাল। আর সেই মুহূর্তেই নামানো হয় মার্টিনেল্লিকে। যিনি স্পেন সফরে বদলি নামার মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেছিলেন। এখানেও যেন সেই গল্পের পুনরাবৃত্তি।

ইনজুরির সময় যোগ হওয়া সাত মিনিটের তৃতীয় মিনিটে এজের দারুণ লং পাসে দৌড়ে উঠে যান মার্টিনেল্লি। সামনে এগিয়ে আসা দোনারুমাকে দেখেই চিপ করেন বল, যা সোজা জালে গিয়ে থামে। উল্লাসে ফেটে পড়ে এমিরেটস, সিটির স্বপ্ন থমকে যায়।

১-১ গোলের এই ড্র আর্সেনালকে লিভারপুলের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পেছনে রাখল। অন্যদিকে পেপ গার্দিওলার সিটি পিছিয়ে পড়ল আট পয়েন্টে। তবে মার্টিনেল্লির এই সমতার গোল আর্সেনালের ২২ বছরের শিরোপা খরার অবসান ঘটানোর অভিযানে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্টিনেল্লির জাদুকরী গোলে শেষ মুহূর্তে সিটিকে রুখল আর্সেনাল