৫ কেজি শুঁটকির বিনিময়ে মিলল ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের টিকিট
Published: 8th, May 2025 GMT
প্রিয় ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি বৃহস্পতিবার। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি আবার ঘরের মাঠে। টটেনহামের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতে বোডো/গ্লিমটকে হাতছানি দিচ্ছে প্রথম নরওয়েজীয় ক্লাব হিসেবে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ফাইনাল। কাজটা কঠিন। প্রথম লেগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহামের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে নরওয়েজীয় ক্লাবটি। তবু স্বপ্ন দেখতে দোষ কী। নামের ভারে টটেনহাম এগিয়ে থাকলেও ফুটবল মাঠে তো কত কিছুই হতে পারে।
এমন ম্যাচটি বোডো/গ্লিমটের যে কোনো সমর্থক মাঠে বসেই দেখতে চাইবেন। কিন্তু সমস্যা হলো বোডো/গ্লিমটের নিবন্ধিত সমর্থকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার হলেও সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট বরাদ্দ মাত্র ৪৮০টি। তাই একেকটি টিকিট হয়ে উঠেছে অমূল্য।
সেই অমূল্য টিকিট না পেয়ে একটু অন্যরকম পথেই হাঁটলেন টোরবিয়র্ন এইডা নামের এক বোডো সমর্থক। পাঁচ কিলোগ্রাম শুঁটকি মাছের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত ‘কালোবাজার’ থেকে টিকিট কিনেছেন এইডা।
শুঁটকির নাম শুনে নাক ছিটকাবেন না। একটি মাছের খামারের প্রোডাকশন ম্যানেজার এইডা বোকনাফিস্ক নামে পরিচিত যে শুঁটকির বিনিময়ে টিকিট পেয়েছেন সেটি নরওয়ের অন্যতম সুস্বাদু খাবার হিসেবেই পরিচিত। আর দামও ফেলনা নয়। পাঁচ কেজি শুকনো সেই মাছের দাম আড়াই হাজার নরওয়েজিয়ান ক্রাউন বা ২৪৩ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
প্রথম লেগে টটেনহামের কাছে ৩–১ গোলে হেরেছে বোডো/গ্লিমট.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।