‘কৃষক লিগ’ বলে কটাক্ষ? সেই কৃষক লিগের দলই তো ফাইনালে
Published: 8th, May 2025 GMT
কথাটা মজা করে বলেন অনেকেই। লিগ আঁ তো ‘কৃষক লিগ’—যেখানে পিএসজি ‘জোতদার’, বাকি দলগুলো ‘বর্গাচাষি।’
লিগ আঁ-তে পিএসজির একক আধিপত্য এমন রসিকতার কিংবা কটাক্ষের কারণ। এবারসহ সর্বশেষ ১৩ মৌসুমের মধ্যে ১১ বারই চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। আবার এ পিএসজিই ইউরোপে সাফল্য না পাওয়ায় লিগ আঁ-র ‘ফারমার্স লিগ’ বা ‘কৃষক লিগ’ তকমাটা প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে ফুটবল-বিশ্বে। ইউরোপের শীর্ষ বাকি চারটি লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিচারেও এই কটাক্ষ করা হয় লিগ আঁ-কে। ফ্রান্সের শীর্ষ এ লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ তুলনামূলক কম ধরে নিয়ে এই কথা বলার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনেকটাই এমন, লিগ আঁ-তে এমন সব খেলোয়াড় খেলেন, যাঁরা সারা দিন মাঠে কৃষিকাজ শেষে সন্ধ্যায় ফুটবল খেলেন!
কিন্তু আসলে কি ব্যাপারটা তাই? এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির ফাইনালে উঠে আসার পথেই তাকানো যাক।
আরও পড়ুন৫ কেজি শুঁটকির বিনিময়ে মিলল ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের টিকিট১ ঘণ্টা আগেলিগ পর্বে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। শেষ ষোলোয় তাদের কাছে ভূপাতিত হয় প্রিমিয়ার লিগেরই আরেক কুলীন দল লিভারপুল, যারা এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালেও পিএসজির সামনে মাথা নত করেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগের দল অ্যাস্টন ভিলা।
সেমিফাইনালেও তাই—আর্সেনাল। গতকাল রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারায় ফরাসি লিগে ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল পিএসজি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।