দেখতে দেখতে শেষের পথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার এই টুর্নামেন্ট পেয়ে গেছে দুই ফাইনালিস্ট। এবারের আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইতালির ইন্টার মিলান ও ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ৩১ মে, শনিবার ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে জার্মানির মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, ম্যাচটি শুরু হবে ১ জুন রাত ১টায়। বাংলাদেশের দর্শকরা ম্যাচটি সরাসরি দেখতে পারবেন সনি স্পোর্টস ২ ও সনিলাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে।

সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে অতিরিক্ত সময়ে ৭-৬ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করে ইন্টার মিলান। শেষ মুহূর্তে মিডফিল্ডার দাভিদে ফ্রাতেসির গোলে নিশ্চিত হয় তাদের জয়। অন্যদিকে, আর্সেনালকে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পিএসজি। দ্বিতীয় লেগে গোল করেন ফাবিয়ান রুইজ ও আশরাফ হাকিমি, আর অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। বুকায়ো সাকা আর্সেনালের পক্ষে একটি গোল করলেও তা যথেষ্ট হয়নি।

ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়, যার ধারণক্ষমতা প্রায় ৭৫ হাজার। এই মাঠে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল হয়েছিল ২০১২ সালে, যেখানে চেলসি টাইব্রেকারে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল।

উয়েফা ইতোমধ্যেই টিকিটের দাম নির্ধারণ করেছে। ফ্যানস ফার্স্ট ক্যাটাগরির টিকিট মিলবে ৮৮০০ টাকায়। ১ থেকে তিন পর্যন্ত ক্যাটাগরির টিকিট কেনা যাবে যথাক্রমে ১ লাখ ১৯ হাজার, ৮১ হাজার ৫০০ ও ২২ হাজার ৬০০ টাকায়। সবচেয়ে দামি ভিআইপির টিকিটের মূল্যমান দেড় লাখ টাকা।

ইন্টার মিলান সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল ২০১০ সালে। অন্যদিকে, এখনো ইউরোপিয়ান শিরোপা অধরা পিএসজির। ২০২০ সালে ফাইনালে পৌঁছেও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তাদের। এবার সেই স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণ সুযোগ। এটি হবে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে একটি ইতালিয়ান ও একটি ফরাসি ক্লাবের মহারণ। ১৯৯৩ সালে প্রথমবার মার্সেই এসি মিলানকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম ল ন প এসজ ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুলে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিরোধ পরিহারের আহ্বান ৫১ নাগরিকের

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও নাচের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জুলাই অভ্যুত্থানের সফলতায় বিভক্তি তৈরির অপপ্রয়াস উল্লেখ করে এ নিয়ে বিরোধ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন ৫১ জন নাগরিক।

সোমবার তাঁদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে একটি পক্ষের লাগাতার বক্তব্য, বিবৃতি, কর্মসূচি গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। আমরা মনে করি, সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত।’

জুলাই আন্দোলনে সব শ্রেণি–পেশা এবং ধর্ম ও মতের মানুষ অংশ নিয়েছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তবে সফল অভ্যুত্থানের পরপরই নানা ধরনের বিভক্তি তৈরির অপপ্রয়াস চলছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও নাচের শিক্ষক বাতিলের দাবি এ বিভাজনকে আরও জটিল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।’

বিবৃতিতে নাগরিকেরা বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, শিশুর নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি মেধা ও মননের বিকাশে সংগীত ও নৃত্যকলার প্রয়োজনও রয়েছে। সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে শিশুরা আধ্যাত্মিক সৌন্দর্যকে নিজের ভেতরে ধারণ করতে সক্ষম হবে। বিশ্ব সংস্কৃতির পরিসরে বাংলাদেশের হয়ে তারা অংশ নিতে পারবে। পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে, ইসলামি সভ্যতায় গানের চর্চা ও সাধনার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম তার সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটিয়েছে, যা মানুষকে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করেছে।’

বাংলাদেশ গান, নাচ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখানকার শিশুদের অধিকার রয়েছে তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। আমরা মনে করি, এ ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার পরিণতি সুখকর হবে না।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষকের যে দাবি উঠেছে, তা মেনে নিয়েও সংগীত শিক্ষক বহাল রাখা ন্যায়সংগত। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে স্থাপন শিশুর বিকাশের পরিবেশ সংকীর্ণ করবে।’

বিবৃতি দেওয়া ৫১ নাগরিকের মধ্যে আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রায়হান রাইন, মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেনিন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কথাসাহিত্যিক জিয়া হাশান, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, গাজী তানজিয়া, এহসান মাহমুদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ