‘বড় ও সম্মানিত’ একটি দেশের সঙ্গে আজ বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে বড় পরিসরের চুক্তির আভাস দিয়েছেন তিনি। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বড় সেই দেশটি যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে ব্রিটেনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে নিজের সম্মতির কথাও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প পোস্ট করে বলেন, ‘একটি বড় ও খুবই সম্মানিত দেশের সঙ্গে বড় বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেব। আগামীতে আসবে এমন অনেক চুক্তি আসবে এবং এটা প্রথম।’ তবে পোস্টে দেশটির নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের আমদানির পণ্যে বড় আকারে শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার পর সাময়িকভাবে শুল্ক স্থগিত করেন তিনি। দাবি করেন, অংশীদারদের আলোচনা ও দরকষাকষির সুযোগ দিতে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দাবি করছেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাণিজ্য চুক্তির জন্য তার দরজায় ধর্না দিচ্ছেন।

তবে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে কী না, তা নিশ্চিত নয়। বরং দুই দেশের আলোচনা ও দরকষাকষির পথ সুগম করতে একটি আনুষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

এ সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পর এটাই যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যচুক্তি।

চলতি দশকের শুরুতে ব্রেক্সিটের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য সুসংহত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করার পর এই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর জ য

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, দুই ঘণ্টা ব্যবধানে নিহত ২    

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– আব্দুল কুদ্দুস (৭০) ও মো. মেহেদী (৩৫)।

আব্দুল কুদ্দুস মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশার অনুসারী। আর মেহেদী মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের সমর্থক ছিলেন।

নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রেললাইন অটোস্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক দিন ধরে আশার অনুসারীদের সঙ্গে হান্নান সরকারের লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হন। এরই জেরে শনিবার রাতে বন্দরের হাজারীবাগের শাহি মসজিদ এলাকায় আশার সমর্থক জাফর-রনি গ্রুপের ওপর হামলা হয় হান্নান সরকারের অনুসারী মেহেদী-বাবুর নেতৃত্বে। এ দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আব্দুল কুদ্দুস। তাঁকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি বন্দরের হাফেজিবাগ এলাকায়।

এ ঘটনার জেরে আশার লোকজন হান্নান সরকারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে সেনাসদস্যরা এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেন।

এদিকে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের সিরাজুদ্দৌলা ক্লাব মাঠে আব্দুল কুদ্দুস হত্যায় অভিযুক্ত মেহেদী ও তার লোকজনকে পেয়ে ধাওয়া দেয় রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন মেহেদী। স্থানীয়রা তাঁকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল কুদ্দুস নিহতের পর হান্নান সরকার বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে। তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।’

এ ব্যাপারে আবুল কাওসার আশা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাবু, মেহেদী, রনি, জাফর সবাই একসময় একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে সম্প্রতি অটোস্ট্যান্ড নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এটিকে একটি পক্ষ আশা ও হান্নানের বিরোধ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

অবশ্য মেহেদী নিহতের পরে একাধিকবার কল দিয়েও হান্নান সরকার ও আবুল কাওসার আশার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ