‘বড় ও সম্মানিত’ এক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেব আজ
Published: 8th, May 2025 GMT
‘বড় ও সম্মানিত’ একটি দেশের সঙ্গে আজ বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে বড় পরিসরের চুক্তির আভাস দিয়েছেন তিনি। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বড় সেই দেশটি যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে ব্রিটেনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে নিজের সম্মতির কথাও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প পোস্ট করে বলেন, ‘একটি বড় ও খুবই সম্মানিত দেশের সঙ্গে বড় বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেব। আগামীতে আসবে এমন অনেক চুক্তি আসবে এবং এটা প্রথম।’ তবে পোস্টে দেশটির নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের আমদানির পণ্যে বড় আকারে শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার পর সাময়িকভাবে শুল্ক স্থগিত করেন তিনি। দাবি করেন, অংশীদারদের আলোচনা ও দরকষাকষির সুযোগ দিতে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দাবি করছেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাণিজ্য চুক্তির জন্য তার দরজায় ধর্না দিচ্ছেন।
তবে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে কী না, তা নিশ্চিত নয়। বরং দুই দেশের আলোচনা ও দরকষাকষির পথ সুগম করতে একটি আনুষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
এ সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পর এটাই যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যচুক্তি।
চলতি দশকের শুরুতে ব্রেক্সিটের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য সুসংহত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করার পর এই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর জ য
এছাড়াও পড়ুন:
কেন আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি চায় যুক্তরাষ্ট্র, সিএনএনকে জানাল সূত্র
আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানানোর পর এবার দেশটিকে হুমকি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তান যদি ঘাঁটিটি ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে রাজি না হয়, তাহলে দেশটির জন্য ‘খারাপ কিছু’ ঘটতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে ঘাঁটিটি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কাবুল।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে মার্কিন বাহিনী। তখন তাদের প্রধান ঘাঁটি ছিল বাগরাম। টানা দুই দশক ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে রাখার পর ২০২১ সালে তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে ঘাঁটিটিসহ আফগানিস্তান ছাড়েন মার্কিন সেনারা। তার পর থেকে ঘাঁটিটি ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে গতকাল শনিবার ট্রাম্প লেখেন, ‘বাগরাম ঘাঁটিটি যারা নির্মাণ করেছে, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যদি ঘাঁটিটি ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।’ তবে এই ‘খারাপ কিছু’ যে আসলে কী, তা খোলাসা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সামনে বাগরাম নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন ট্রাম্প।
সেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, চীনকে মোকাবিলার জন্যই ঘাঁটিটি আবার ফিরে পেতে চায় ওয়াশিংটন। কারণ, চীন যেখানে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে, সেখান থেকে বাগরাম মাত্র এক ঘণ্টার পথ। ট্রাম্প এ–ও বলেছিলেন যে তালেবানের সম্মতি নিয়েই ঘাঁটিটির দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পর আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা নাকচ করা হয়।
কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্পবাগরাম ফিরে পেতে নিজের প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্প আলাপ করছেন বলে উল্লেখ করেছে বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা আছে, এমন তিনটি সূত্র। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তারা বলে, অন্তত এক মাস ধরে ঘাঁটিটি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে আলোচনা চলছে।
বাগরাম ঘাঁটির একটি রানওয়ে